শূন্যে আফ্রিদিকেও পেছনে ফেলে দিলেন উমর আকমল

উমর আকমলকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলছেন নুয়ান প্রদীপ। ছবি : এএফপি
উমর আকমলকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলছেন নুয়ান প্রদীপ। ছবি : এএফপি
>বহুদিন পর পাকিস্তানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন উমর আকমল। নেমেই যে রেকর্ড করলেন, কোনো ব্যাটসম্যানই তা করতে চাইবেন না!

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে চেয়েছিলেন উমর আকমল।

পাকিস্তানের হয়ে তিনে ব্যাট করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের কাছেও আবেদন করেছিলেন। তাতে কাজ হয়নি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলেই জায়গা হয়নি তাঁর। বিশ্বকাপের পর এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই জায়গা হয়েছে উমরের। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হয়েছে তাঁর। অথচ ফিরে আসার এই ম্যাচটা কী দুঃসহই না কাটল আকমলের!

গতকাল যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, পাকিস্তানের অবস্থা ভালো না। ১৩ রান তুলতে না তুলতেই মূল ভরসা বাবর আজম নেই। ২৯ বছর বয়সী আকমলদের মেজো ভাইয়ের ওপর তখন সবার চোখ। দলকে উদ্ধার করবেন এই ব্যাটসম্যান, সঙ্গে দলে নিজের জায়গাটাও পাকা করবেন, এমনটাই আশা করছিলেন পাকিস্তানের সমর্থকেরা। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। লঙ্কান পেসার নুয়ান প্রদীপের প্রথম বলেই এলবিডব্লুর শিকার হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলেন উমর আকমল!

শূন্য রানে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপ্রত্যাশিত এক রেকর্ডও করেছেন। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডটা ছিল শহীদ আফ্রিদির। ‘ডাক’ এর জন্য বিখ্যাত এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টিতে আটবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। গতকাল সে রেকর্ডটাই ছাড়িয়েছেন উমর। টি-টোয়েন্টিতে উমরের শূন্য রানের ইনিংস এখন নয়টা। উমর অবশ্য এক দিক থেকে আফ্রিদিকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আফ্রিদির আট শূন্য ৭৮ ম্যাচে। সেখানে উমর ৬৪ ম্যাচেই নয়বার শূন্য পেয়ে গেছেন। অবশ্য সুযোগ পেলে আকমালদের বড়জন কামরানও হয়তো এ রেকর্ড নিজের করে নিতে পারতেন। মাত্র ৪৭ ম্যাচেই যে সাতবার ডাক মেরেছিলেন কামরান।

সব দেশ মিলিয়ে রেকর্ডটা লঙ্কান ওপেনার তিলকরত্নে দিলশানের। গোটা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দশ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন এই মারকাটারি ব্যাটসম্যান। শূন্য রানে আউট হওয়ায় উমরের চেয়েও বেশি আগ্রহ ছিল দিলশানের। প্রতি সাত ইনিংসেই অন্তত একটি শূন্য মারতেন দিলশান (৬৭ ইনিংসে ১০ বার)। অবশ্য তাঁর দুই স্বদেশি থিসারা পেরেরা (৪০ ম্যাচে ৮ বার) ও দাসুন শানাকাও (২৫ ম্যাচে ৭ বার)। বাংলাদেশের সৌম্য সরকারও জায়গা করে নিয়েছেন চিন্তায় ফেলে দেওয়ার এ রেকর্ডে। ক্যারিয়ারে ৪৩ ইনিংসের মাঝে সাতবারই স্কোরবোর্ডে দাগ না কেটেই ফিরেছেন।

ওদিকে উমর আকমলসহ বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে ম্যাচের ফলাফলেও। লাহোরে কাল শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন দানুস্কা গুনাতিলকা। তাড়া করতে নেমে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নুয়ান প্রদীপ ও ইসুরু উদানা। কাল লাহোরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।