ব্রাজিলে আরও তরুণ ফুটবলার পাঠাতে চায় বাংলাদেশ

ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কেক কাটার অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র। পাশে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ছবি: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়
ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কেক কাটার অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র। পাশে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ছবি: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়
>

বাংলাদেশের চার তরুণ ফুটবলার এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন ব্রাজিল থেকে। এবার উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে ব্রাজিলে দীর্ঘ মেয়াদে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ফুটবলার পাঠাতে চান বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ব্রাজিলে এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বাংলাদেশের চার তরুণ ফুটবলার। মাসব্যাপী কার্যক্রমের সফলতায় সন্তুষ্ট হয়ে এবার বড় প্রকল্প হাতে নিতে চায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে দীর্ঘ মেয়াদে ব্রাজিলে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ফুটবলার পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমন কথাই জানিয়েছেন। বাংলাদেশের নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে বলেছেন, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

রাজধানী ঢাকায় ব্রাজিলের ১৯৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। আলোচনায় উঠে আসে অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৭ পর্যায়ে বাংলাদেশের চার ফুটবলারের কথা। জগেন, নাহিদ, মিঠু ও নাজমুল—এ চার ফুটবলার কিছুদিন আগেই এক মাসের অনুশীলন শেষ করে এসেছেন ব্রাজিল থেকে। ব্রাজিলে অনুশীলন করার সুযোগকে এবার বড় পরিসরে কাজে লাগাতে চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। নিতে চান দীর্ঘ মেয়াদে ব্রাজিলের অনুশীলনের সুযোগ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক মাসেই যেহেতু তারা এত উন্নতি করেছেন তাই আমরা যদি দুই বছরের প্রশিক্ষণ নিতে পারি তবে তা ফুটবলের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশের তরুণ ফুটবল প্রতিভাদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতও। বাংলাদেশ সরকার থেকে নতুন কোন প্রস্তাব আসলে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র। তিনি বলেন,বাংলাদেশের ফুটবলাররা খুব ভালো। আমাদের দেশের কোচরা তাদের অনেক প্রশংসা করেছে। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো প্রস্তাব আসলে অবশ্যই আমরা তা নিয়ে আলোচনা করব।