বাংলাদেশের ফুটবলে অগ্নিপরীক্ষার গল্প

২০০৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দোহায় কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ। ছবি: এএফপি
২০০৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দোহায় কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ। ছবি: এএফপি

কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম কঠিন ‘পরীক্ষা’—এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকেই ‘আতঙ্কিত’ এই ম্যাচে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে। অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এ ম্যাচে এশীয় চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের ফুটবলের সামনে জামাল ভূঁইয়া-ইয়াসিন-সোহেল রানারা আদৌ লড়াইটা করে যেতে পারবে কিনা! তবে অনেকেই আবার রোমাঞ্চিত এই ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে। কাতারের বিপক্ষে এই ম্যাচকে ‘বিশেষ উপলক্ষ’ বলা যেতেই পারে। ২০২২ সালে পরের বিশ্বকাপের আয়োজক যে এই কাতারই।

২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালে এশিয়ান কাপ জেতার পর নভেম্বরে ঢাকায় ‘অ্যাওয়ে ম্যাচ’খেলতে এসেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়াই ছিল সদ্য এশিয়ান কাপ জিতে ঢাকায় খেলতে আসা প্রথম কোনো দল। কাতার এবার গ্রুপে থাকায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশীয় চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ঢাকার মাঠে লড়াই বাংলাদেশের। এ ম্যাচে জেমি ডে’র লক্ষ্য অবশ্যই প্রাণপণ লড়াইয়ের। কে জানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দর্শক-সমর্থন জাতীয় দলের ফুটবলারদের সে লড়াইয়ে হয়তো দারুণভাবেই উজ্জীবিত করতে পারে।

কাতার অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে গত বছরই জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সে দলটির অনেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে কাল মাঠে নামবেন। সে হিসাব অবশ্যই আলাদা। কাতারের জাতীয় দল অবশ্যই জাকার্তা এশিয়ান গেমসের দলটির সমকক্ষ নয়। এই কাতার অনেক অনেক শক্তিশালী। এটি জাতীয় দল। এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন। এ বছরের কোপায় মেসির আর্জেন্টিনার সঙ্গে টেক্কা দেওয়া দল। তবে কাতার জাতীয় দলকেই রুখে দেওয়ার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। সেটি অবশ্য ৪০ বছর আগে। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কাতারের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, সেবারই ইতিহাসে প্রথম ও এখনো পর্যন্ত একমাত্র বারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ।

এরপর আরও দুবার কাতারের সঙ্গে লড়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঢাকায় কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-১ গোলে। দোহাতেও পরের লেগে বাংলাদেশ হেরে যায় ৩-০ গোলে।

১৯৮৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চীনের গুয়াংজুতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ছবি: সিনহুয়া
১৯৮৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চীনের গুয়াংজুতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ছবি: সিনহুয়া

বাংলাদেশ অতীতে কাতার ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, কুয়েত, চীন, উত্তর কোরিয়ার মতো এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একাধিকবার মাঠে নেমেছে। এই দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার বড় ব্যবধানে হারলেও কোনো কোনো ম্যাচে জোর লড়াই করেছে। এখনো পর্যন্ত এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড না থাকলেও বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা কম নেই বাংলাদেশের। সে হিসেবে আগামীকাল কাতারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি বড় ধরনের পরীক্ষা হলেও এটি আরও একবার এশীয় পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান বুঝে নেওয়ার সুযোগই বাংলাদেশের কাছে।

এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হয়েছে ইরানের বিপক্ষে। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ খেলা ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম মোকাবিলা ছিল ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপে। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এই একবারই এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইরানের সঙ্গে প্রথম মোকাবিলায় ফল ছিল ৭-০। এরপর ১৯৮৪ সালে আবারও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ইরানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জাকার্তায় সে ম্যাচ বাংলাদেশ হারে ৫-০ গোলে। প্রবল প্রতিপক্ষ ইরানের বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত ৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বলা বাহুল্য হার ৫টিতেই। ১৯৮৯ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শেষবারের মতো এই ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ হারে সমান তালে লড়াই করে। ঢাকার ফল ২-১ হলেও তেহরানের ফিরতি পর্বের খেলাটির ফল ছিল হৃদয় বিদারক। পুরো ম্যাচে প্রবল লড়াই করেও যোগ করা সময়ের গোলে সেদিন ইরানের কাছে হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

ইরানের মতো জাপানের সঙ্গেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের দেখা হয়েছে পাঁচবার। ১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাপানের মুখোমুখি হয়ে (মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে) ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ১৯৮৬ সালের সিউল এশিয়ান গেমস ও ১৯৯০ সালের বেইজিং এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ জাপানের কাছে হেরেছিল যথাক্রমে ৪-০ ও ৩-০ গোলে। ১৯৯৩ সালে জাপানের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ শিকার হয়েছিল ভরাডুবির। টোকিওর সে ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছিল ৮-০ গোলে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। দুবাইয়ে পরবর্তী লেগে অবশ্য লড়াইটা মন্দ করেনি বাংলাদেশ। সে ম্যাচের ফল ছিল ৪-১।

২০১৫ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল কঠিন এক পরীক্ষা। ছবি: এএফপি
২০১৫ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল কঠিন এক পরীক্ষা। ছবি: এএফপি

এশিয়ার বিশ্বকাপ খেলা দল উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ফল তুলনামূলক ভালো। এই দলটিকে ১৯৮৮ সালে দেশের মাটিতে রুখে দেওয়ার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের (০-০)। ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথম মোকাবিলায় বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-২ গোলে। ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের কায়েদে আজম ট্রফিতে বাংলাদেশ হারে ১-০ গোলে। এই দলের সঙ্গে সর্বশেষ দুটি লড়াইয়ে (দেশের মাটিতে) বাংলাদেশ হেরেছিল ৫-১ গোলে।
এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ জায়ান্ট’ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। ১৯৭৯ সালে কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কাপে বাংলাদেশ দলটির কাছে হেরেছিল ৯-০ গোলে। কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯৭৫ সালে মারদেকা কাপে। সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। ১৯৮৩ সালে মালয়েশিয়ার আরেকটি মারদেকা কাপে বাংলাদেশ হারে ৩-১ গোলে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সর্বশেষ মুখোমুখি হয় আজ থেকে ২৩ বছর আগে, ১৯৯২ সালে। ব্যাংককে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ সে ম্যাচ হারে ৬-০ গোলে।

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ খেলা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯৮৮ সালের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। আবুধাবির সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। ১৯৯৩ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জাপানের মাটিতে প্রবল আমিরাতের বিপক্ষে প্রবল লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে পেনাল্টি থেকে ১-০ গোলে বাংলাদেশকে হারায় আরব আমিরাত। এই দলটির সঙ্গে সর্বশেষ মোকাবিলা হয় ১৯৯৯ সালে। ২০০০ সালের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। আবুধাবির সে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারায় আমিরাত। বলা হয়নি, ১৯৯৩ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুবাই পর্বে বাংলাদেশ আমিরাতের কাছে হেরেছিল ৭-০ গোলে।

সৌদি আরবের সঙ্গে প্রথম মোকাবিলাতেই চীনের বেইজিং এশিয়ান গেমসে ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৭ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই লেগে এই সৌদি আরব বাংলাদেশকে হারিয়েছিল যথাক্রমে ৪-১ (কুয়ালালামপুর) ও ৩-০ (জেদ্দা) গোলে। ২০০১ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই পর্বে (দুটি পর্বই অনুষ্ঠিত হয় দাম্মামে) বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ও ৬-০ গোলে।

চীনের বিপক্ষে ১৯৮২ সালের দিল্লি এশিয়াডে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ১-০ গোলে। চীনের সঙ্গে সে ম্যাচ ছাড়াও বাংলাদেশ খেলেছে আরও চারটি ম্যাচ। ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপে প্রথম সাক্ষাতে চীনের কাছে বাংলাদেশ হেরেছিল ৬-০ গোলে। ১৯৮৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চীনের সঙ্গে সর্বশেষ দুই মোকাবিলায় হার ছিল ২-০ গোলে (গুয়াংজু ও ঢাকা)।

১৯৯৯ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আবুধাবিতে উজবেকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ। ছবি: এএফপি
১৯৯৯ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আবুধাবিতে উজবেকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ। ছবি: এএফপি

এশিয়ার আরেক বিশ্বকাপ খেলা দল কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপের প্রথম সাক্ষাতে কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-১ গোলে। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ মোকাবিলায় (সিউল এশিয়ান গেমসে) বাংলাদেশ হেরে যায় ৪-০ গোলে।
এশিয়ার বিশ্বকাপ খেলা দলগুলোর পাশাপাশি শক্তিশালী উজবেকিস্তান, কাতার ও সিরিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি লড়াইয়ের একটিতেও দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে প্রথম সাক্ষাতে (এশিয়ান কাপ বাছাই, আবুধাবি) বাংলাদেশ হেরেছিল ৬-০ গোলে। পরের দুটো ম্যাচে ফল ছিল যথাক্রমে ৪-০ (ঢাকা) ও ৫-০ (তাসখন্দ)। সিরিয়ার সঙ্গেও কিন্তু লড়াইয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের। ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপে সিরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮৪ সালের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ হেরে যায় ২-১ গোলে। ২০০৭ সালে দিল্লির নেহেরু কাপে সিরিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশ হার মানে ২-০ গোলে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দুটিই ২০১৫ সালে। ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল সকারুরা। পার্থে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫-০ গোলে হারের পর ঢাকার হোম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। সে ম্যাচে গোটা দ্বিতীয়ার্ধ মহাশক্তিধর অস্ট্রেলিয়াকে ঠেকিয়ে রেখেছিল মামুনুল-জামাল ভূঁইয়ারা।

এশিয়ার বিশ্বকাপ খেলা ও এই শীর্ষ দলগুলোর বাইরে জর্ডান, বাহরাইন, লেবানন ও ইয়েমেনের সঙ্গে খেলেছে বাংলাদেশ। লেবানন ও ইয়েমেনের সঙ্গে বাংলাদেশের আছে জয়ের রেকর্ড। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লেবাননকে ঢাকায় ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম লেগে বৈরুতে অবশ্য লেবানন জিতেছিল ৪-০ গোলে। ইয়েমেনের সঙ্গে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৯৯৪ সালে কাতারের দোহায়, ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে। সে ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-০। ইয়েমেনের সঙ্গে ১৯৮৮ সালে আবুধাবির এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের আরও একটি ম্যাচে বাংলাদেশ গোলশূন্য ড্র করেছিল। বাহরাইনের সঙ্গে ১৯৭৯ সালের পর আর দেখা হয়নি বাংলাদেশের। সে ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে। জর্ডান ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী ছিল। আম্মানে এই দলের বিপক্ষে ৮-০ গোলে ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে ঢাকার হোম ম্যাচে লড়াইটা ছিল মোটামুটি। সে ম্যাচে হার ছিল ৪-০ গোলের।