সাহসী জেমি কাতারকে হারাতে চান

কাতারকে হারাতে চান জেমি ডে। ছবি: প্রথম আলো
কাতারকে হারাতে চান জেমি ডে। ছবি: প্রথম আলো
>

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে আগামীকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

‘কাতারের বিপক্ষে জিততে চায়’, কথাটি বলে ঘাড় উঁচিয়ে ভ্রু কুঁচকালেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। প্রায় ৮ গজ দূর থেকে তাঁর আত্মবিশ্বাস দেখে মনে হলো ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতার নয় যেন ভুটানের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!

বিশ্ব ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬২ নম্বরে অবস্থান করছে কাতার। এর ১২৫ ধাপ পেছনে গিয়ে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায় ১৮৭ তম অবস্থানে। এই তথ্যেও বোঝানো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার শক্তির পার্থক্য। আরেকটি তথ্য দিলে পরিষ্কার হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির শক্তিমত্তা। বর্তমান এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়নের মুকুটও কাতারের মাথায়। এ ছাড়া যেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই শুরু করেছে বাংলাদেশ। সেই আফগানিস্তানকেই দোহায় ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছে কাতার। তথ্যগুলো অজানা নয় বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমির।

কিন্তু মাঠে নামার আগে অন্তত হেরে বসতে রাজি নন। দিচ্ছেন কাতারকে হারানোর বার্তা , ‘আমরা জানি ম্যাচটি কঠিন হতে যাচ্ছে। প্রতিটা দলের মতোই আমরা জিততে চায়। ভুটানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ জিতে আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। আগামীকাল আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। তাদেরকে থামানোর জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। তাদের দুর্বলতা কাজে লাগাতে হবে।’

কিন্তু কাতারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের রসদ আছে কিনা! এমন প্রশ্নের জবাবে চমক ও নিজেদের সেরা খেলার দিকেই তাকিয়ে জেমি , ‘তাদের দুর্দান্ত একটা দল আছে। তারা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। তারা ব্রাজিল , আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশ তাদের সামনে দুর্বল। কিন্তু ফুটবলে সব সময় চমক থাকে। কাল আমাদের দুর্দান্ত খেলতে হবে। অন্য যে কোনো ম্যাচের চেয়ে ভালো খেলতে হবে।’

জেমির কথা ‘স্পর্ধা’ মনে হতে পারে! কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসেই কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব -২৩ দল ও মূল জাতীয় দলের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও সে জয় থেকে পাওয়া যায় অনুপ্রেরণা। শেষের দিকে একমাত্র গোল করে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। প্রায় এক বছরের ব্যবধানে তাঁর কণ্ঠেও কাতারকে আবার হারানোর সাহস। নিজেদের জয়ের অভিজ্ঞতার সঙ্গে ভারতকেও অনুপ্রেরণা মানছেন তিনি,‘ তারা এশিয়ার এক নম্বর দল। আমরা কঠিন একটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে হবে। ভারত যদি তাদের সঙ্গে ড্র করতে পারে, আমরাও তাদের সঙ্গে ড্র করতে পারি। এমনকি জিতেও যেতে পারি। ’

বাছাইপর্বে দুই ম্যাচ খেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ও ভারতের বিপক্ষে ড্র করে ৪ পয়েন্ট কাতারের। আর আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।