'বহুজাতিক' কাতারের সঙ্গে থাকছেন জাভিও

বড় জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে কাতার। ছবি : এএফপি
বড় জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে কাতার। ছবি : এএফপি

ঘুরে ফিরে আসছে সেই স্মৃতি। গত সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসেই কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষের দিকে একমাত্র গোল করে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সে জয় থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজেদের মাটিতে জামালরা আবার ঝলক দেখাতে পারবেন তো?

হয়তো পারবেন। হয়তো পারবেন না। তবে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে আশাবাদী, নিজের দেশের মাটিতে কাতারকে রুখে দেওয়া বেশ সম্ভব। তাঁর মাথায় চলছে হাজারো পরিকল্পনা, প্রতিপক্ষের কৌশল ভেস্তে দেওয়ার। কিন্তু প্রতিপক্ষের কৌশলটা কী? বাংলাদেশের বিপক্ষে কাতারের রণপরিকল্পনা ঠিক কেমন হবে?

আসুন একটু দেখে নেওয়া যাক।

কাতার দলটার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা দুটি।

প্রথমত, দলটির নাম কাতার হলেও একদম শত ভাগ কাতারি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় আছেন খুব কম। মূল একাদশের অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যে বইছে অন্যান্য দেশের রক্ত। তাদের ফুটবল খেলার ধরনের মধ্যেও এই বিভিন্ন জাতির প্রভাব ও বৈচিত্র্য বিদ্যমান।

দলের কোচ ফেলিক্স সানচেজ। ছবি : এএফপি
দলের কোচ ফেলিক্স সানচেজ। ছবি : এএফপি

দ্বিতীয়ত, দলের প্রায় প্রত্যেক খেলোয়াড়ই একাধিক পজিশনে খেলে অভ্যস্ত। ফলে কোচ ফেলিক্স সানচেজকে কোনো নির্দিষ্ট ছকে আটকে থাকা লাগে না। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা ও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাতার একেক ম্যাচে একেক ছক ও কৌশল নিয়ে খেলে। ফলে তাদের মূল একাদশ ও কৌশল একটু হলেও অননুমেয়।

গত কয়েক ম্যাচে কাতারের কৌশল ও মূল একাদশের দিকে লক্ষ্য রাখলে একটা ধারা লক্ষ্য করা যায়। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলে তাদের ছক ও কৌশল হয়ে যায় আক্রমণাত্মক। আবার প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে তারা অতি রক্ষণাত্মক ভাবে খেলা শুরু করে। কাতার গত কয়েক ম্যাচে যাদের সঙ্গে খেলেছে এদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে আফগানিস্তান ও ভারতকে দুর্বল বলা চলে। এই দুই দলের সঙ্গে তারা বেশ আক্রমণাত্মকভাবেই খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে ৪-৩-৩ ছকে খেলা কাতার আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলেছিল ৪-২-৪ (৪-৪-২) ফর্মেশনে।

আবার আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের বিপক্ষে দেখে গেছে অতি রক্ষণাত্মক কাতারকে। সে দুই ম্যাচে রক্ষণভাগে পাঁচজনকে রেখে যথাক্রমে ৫-৪-১ ও ৫-২-১-২ (৫-৩-২) ছকে খেলেছে কাতার। এমনকি নিজেদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী কলম্বিয়ার বিপক্ষেও ৫-৪-১ ছকে সেজেছিল কাতার। আবার তুলনামূলক ভাবে মধ্যমশক্তির প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৪-৪-১-১ ছকে খেলেছে কাতার।

এর সুফলও পেয়েছে তারা। খুব বেশি না হলেও, পেয়েছে। অতি রক্ষণশীল মানসিকতার জন্য ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা কলম্বিয়ার মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে অন্তত গোলবন্যায় ভেসে যেতে হয়নি তাদের। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা - দুই দলের সঙ্গেই একটি করে গোল খেয়ে হেরেছে তারা, কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেয়েছে এক গোল।

জাভি হার্নান্দেজের আল সাদের অনেক খেলোয়াড় আছেন মূল একাদশে। ছবি : এএফপি
জাভি হার্নান্দেজের আল সাদের অনেক খেলোয়াড় আছেন মূল একাদশে। ছবি : এএফপি

ওদিকে অতি আক্রমণাত্মক দর্শনের পূর্ণ ফসল তুলেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, আফগানিদের হাফ ডজন গোল দিয়েছে কাতার। একমাত্র ব্যর্থতা হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটাকেই উল্লেখ করা যায়। ৪-৩-৩ ছকে আক্রমণ নির্ভর খেলা খেলেও গোলশূন্য ড্র করতে হয়েছে তাদের। তবে এর পেছনে কারণও ছিল। সে দিন তিন মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছিলেন আসেম মাদিবো, বুয়ালেম খোকি ও আবদুলআজিজ হাতেম। তিনজনের মধ্যে মাদিবো রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার, হাতেমের মধ্যেও আক্রমণ করার তেমন মানসিকতা নেই, আর খোকি মূলত একজন ডিফেন্ডার। মিডফিল্ড থেকে তেমন আক্রমণের রসদ পায়নি সেদিন কাতার। আক্রমণের জন্য শুধু আক্রমণভাগের ওপরেই নির্ভর করতে হয়েছিল কাতারকে। ফলে ভারত সেই দুর্বলতার সুবিধা নিতে পেরেছিল।

বলতে গেলে কাতারের মূল একাদশের সব খেলোয়াড়ই বহুদিন ধরে একসঙ্গে খেলছেন। এমনকি এশিয়ান কাপের ফাইনালে যে দলটা জাপানকে হারিয়েছিল, সে দলটাই বাংলাদেশে এসেছে খেলার জন্য। এত দিন একসঙ্গে খেলার ফলে খেলোয়াড়দের রসায়ন দুর্দান্ত। সবাই সবার ভূমিকা বেশ ভালো বোঝেন। আর কার ভূমিকা কী হবে, সেটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য মাঠের বাইরে কাজ করে ফেলিক্স সানচেজের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক।

কিন্তু কে এই ফেলিক্স সানচেজ? কাতারকে বার্সেলোনার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে দুজন পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন, সে দুজনের একজন হলেন এই সানচেজ। সেই ১৯৯৬ সাল থেকে টানা এগারো বছর বার্সেলোনার যুবদলের কোচ ছিলেন সানচেজ। নিজের চোখের সামনে গড়ে উঠতে দেখেছেন মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা, পুয়োল, পিকে, ভালদেস, ফ্যাব্রিগাসদের। কাজ করেছেন রোনালদিনহো ও রিভালদোর মতো তারকাদের সঙ্গে। ফলে সেই দর্শনের অন্তত একটুও কাতার দলের খেলার মধ্যে দেখা যাবে, এটা আশা করাই যায়।

তারেক সালমান। ছবি : এএফপি
তারেক সালমান। ছবি : এএফপি

কাতারের বার্সা-সংযোগের মাধ্যম কিন্তু শুধু এই সানচেজই নন। কাতার জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অধিকাংশই আল সাদ ক্লাবে খেলেন। বলতে গেলে কাতারের মূল একাদশের মাঝমাঠ ও রক্ষণভাগের সব খেলোয়াড়ই আল সাদে খেলেন। আর এই আল সাদের কোচ হচ্ছেন বার্সেলোনার সাবেক কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ। গোলরক্ষক সাদ আলশিব, রাইটব্যাক পেদ্রো মিগুয়েল, লেফটব্যাক আবদেল করিম হাসান, সেন্টারব্যাক তারেক সালমান, বুয়ালেম খোকি ও সালেম আল হাজরি, মিডফিল্ডার হাসান আল হায়দোস, উইঙ্গার আকরাম আফিফ - সবাই খেলেন আল সাদে। কোচ হিসেবে তারা যেমন জাভির কাছ থেকে শিক্ষা পান, মাঠের লড়াইয়েও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাবেক স্প্যানিশ তারকা গ্যাবিকে সঙ্গে পান। ফলে মাঠের খেলায় সে ছাপটা স্পষ্ট ফুটে ওঠে।

বাংলাদেশ ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দল নয় কোন দিক দিয়েই। বরং বলা যেতে পারে, গত কয়েক মাসে কাতারিরা যাদের সঙ্গে খেলছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশই দুর্বলতম। বিশ্ব ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬২ নম্বরে অবস্থান করছে কাতার। এর ১২৫ ধাপ পেছনে গিয়ে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায় ১৮৭ তম অবস্থানে। এই তথ্যেও বোঝানো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার শক্তির পার্থক্য। আরেকটি তথ্য দিলে পরিষ্কার হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির শক্তিমত্তা। বর্তমান এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়নের মুকুটও কাতারের মাথায়। এ ছাড়া যেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই শুরু করেছে বাংলাদেশ। সেই আফগানিস্তানকেই দোহায় ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছে কাতার।

মিডফিল্ডে দেখা যেতে পারে আবদেল আজিজ হাতেমকে। ছবি : কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের টুইটার পেজ থেকে নেওয়া
মিডফিল্ডে দেখা যেতে পারে আবদেল আজিজ হাতেমকে। ছবি : কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের টুইটার পেজ থেকে নেওয়া

সুতরাং অনুমান করা যেতে পারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ছকেই খেলবে কাতার। সে ক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে ৪-৩-৩ বা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪-২-৪ ছকের মতো ছকে নামতে পারে কাতার। গোলরক্ষক হিসেবে যথারীতি থাকবেন আল সাদে খেলা গোলরক্ষক সাদ আলশিব। গত এশিয়ান কাপে গোটা টুর্নামেন্টে মাত্র এক গোল হজম করে টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন আলশিব। চারজনের রক্ষণভাগের একদম রাইটব্যাকে থাকবেন পর্তুগালের বংশোদ্ভূত তারকা পেদ্রো মিগুয়েল। বিখ্যাত পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার বয়সভিত্তিক দলগুলোতে পাঁচ বছর খেলেছেন তিনি। এখন খেলছেন আল সাদে। লেফটব্যাক হিসেবে কাতারের হয়ে নিয়মিত খেলেন আবদেল করিম হাসান। তিনিও আল সাদেরই খেলোয়াড়।

দুই সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি আল সাদের তারেক সালমান ও আল দুহাইলের বাসাম হিসাম আল রাওয়ির। রক্ষণভাগের এই তারেক সালমান আক্ষরিক অর্থেই সব্যসাচী। রক্ষণভাগের যেকোনো জায়গায় খেলতে পারদর্শী সালমান মূলত সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলেন। লেফটব্যাকে আবদেল করিম না থাকলে বিকল্প লেফটব্যাক হিসেবে সালমানেরই ডাক পড়ে, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটায় যা দেখা গিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে কাতারের অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ১-০ গোলে হারানোর সেই ম্যাচে জামাল ভুঁইয়াদের ঝলক সামনাসামনি দেখেছিলেন এই সালমান। সে দিক দিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর স্পৃহাটা তাঁর মনের মধ্যেই বেশি থাকার কথা। স্পেনের দেপোর্তিভো আলাভেস ও রিয়াল সোসিয়েদাদের যুবদলের হয়ে খেলা সালমানের খেলার মধ্যেও স্প্যানিশ সেই ছোঁয়াটা আছে।

উইংয়ে খেলতে পারেন আকরাম আফিফ। ছবি : কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের টুইটার পেজ থেকে নেওয়া
উইংয়ে খেলতে পারেন আকরাম আফিফ। ছবি : কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের টুইটার পেজ থেকে নেওয়া

ওদিকে ইরাকি বংশোদ্ভূত বাসাম হিসাম আল রাওয়ি ফুটবল পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন। তাঁর বাবা হিশাম আলী আল রাওয়ি নব্বইয়ের দশকে ইরাকের মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ছিলেন।

এরা ছাড়াও সেন্টারব্যাক হিসেবে দেখা যেতে পারে সালেম আল হাজরিকে।

৪-৩-৩ হোক বা ৪-৪-২, যে ছকেই কাতার খেলুক না কেন, মাঠে নির্ভরযোগ্য রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার আসেম মাদিবোকে পাচ্ছে না তারা। আল দুহাইলের এই মিডফিল্ডার আল শাহানিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে চোটে পড়েছেন। মালির বংশোদ্ভূত এই তারকাকে এর ফলে যেতে হয়েছে চিকিৎসকের কাঁচির নিচেও। বাংলাদেশের জন্য একটা সুসংবাদই বলা চলে।

দলের মূল ভরসা আলমোয়েজ আলী। ছবি : এএফপি
দলের মূল ভরসা আলমোয়েজ আলী। ছবি : এএফপি

যেহেতু আসেম মাদিবো খেলছেন না, সে জায়গায় আল সাদের বুয়ালেম খোকিকে দেখলে আশ্চর্য হবেন না যেন। মূলত ডিফেন্ডার হিসেবে খেলা এই খেলোয়াড় শুধুমাত্র গোলরক্ষক হওয়া ছাড়া মাঠের অন্য যেকোনো পজিশনে খেলতে পারেন। গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও মিডফিল্ডেই খেলেছিলেন তিনি। ছোটবেলা আলজেরিয়ার নামকরা স্ট্রাইকার ইসলাম স্লিমানির সঙ্গে খেলা এই স্ট্রাইকার আগে আক্রমণভাগেই খেলতেন। পরে নামতে নামতে তাঁর ঠাঁই হয়েছে রক্ষণভাগে। হয়তো বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেও রক্ষণভাগেই খেলতেন, কিন্তু আসেম মাদিবোর চোটটা ফেলিক্স সানচেজকে ভাবিয়ে তুলতে পারে। আর সেই ভাবনার ফসল থেকে ভারতের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষেও বুয়ালেম খোকিকে দেখা যেতে পারে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলার জন্য আরও আছেন আবদুল আজিজ হাতেম ও করিম বুদায়েফ। বুদায়েফ ও হাতেম, কেউই জন্মগত ভাবে কাতারের নন। বুদায়েফ জন্মেছেন ফ্রান্সে, ওদিকে হাতেম এসেছেন সুদান থেকে। তিনজনের মিডফিল্ডে তাই খোকি, বুদায়েফ ও হাতেম—এদের থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলবেন আল দুহাইলের স্ট্রাইকার আল মোয়েজ আলী। তিনিও সুদানি বংশোদ্ভূত। গত এশিয়ান কাপে নয় গোল করেছেন, এশিয়ান কাপের এক আসরে এত বেশি গোল আর কেউই করেননি। লেফট উইঙ্গার হিসেবেও খেলতে পারেন এই তারকা।

আল মোয়েজকে মাঝে রেখে দুই প্রান্তে দেখা যেতে পারে যথাক্রমে হাসান আল হায়দোস ও আকরাম আফিফকে। আল সাদের কিংবদন্তি উইঙ্গার হাসান আল হায়দোসের কাঁধেই রয়েছে নেতৃত্বভার। অভিজ্ঞ এই উইঙ্গারকে দেখা যেতে পারে আক্রমণভাগের ডান প্রান্তে। বাম দিকে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি আকরাম আফিফের। প্রতিভাবান এই উইঙ্গার স্প্যানিশ লিগের সর্বপ্রথম কাতারি খেলোয়াড় হিসেবে ভিয়ারিয়ালে নাম লিখিয়েছিলেন চার বছর আগে। এখনো ভিয়ারিয়ালেই খেলেন, তবে এই মৌসুমে ধারে খেলছেন আল সাদের হয়ে, জাভির অধীনে।

মোটামুটি এঁদেরই দেখা যেতে পারে আগামীকাল, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে। বাংলাদেশ কি পারবে নিজের মাঠে লড়াই করতে?