কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের চাওয়া 'একটু বৃষ্টি'

আজ বাংলাদেশের প্রার্থনা—একটু বৃষ্টি। ছবি: প্রথম আলো
আজ বাংলাদেশের প্রার্থনা—একটু বৃষ্টি। ছবি: প্রথম আলো
>বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

কাল ( আজ ) যদি বৃষ্টি হতো . . .

গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে খুব আশা নিয়ে কথাটি বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক ডিফেন্ডার। তাঁর মতো ঘুরে ফিরে সব ফুটবলারের কণ্ঠেই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা। বৃষ্টি ভেজা মাঠই যে শক্তির পার্থক্য অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আজকের ম্যাচে এশীয় চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে কাদা মাঠই যে শক্তি জোগাতে পারে বাংলাদেশকে।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে কাতারের চেয়ে ১২৫ ধাপ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আরেকটি তথ্য দিলে পরিষ্কার হবে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার শক্তির পার্থক্য। যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ, সেই আফগানদেরই দোহায় ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছে কাতার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত গোলশূন্য ড্র করায় খিদে পাওয়া বাঘের মতো হিংস্র হয়ে আছে তারা। এই দলটিকে থামাতে সর্ব শক্তি দিয়ে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি জামাল ভূঁইয়া কালকেই দিয়েছেন। এখন বৃষ্টিভেজা, কাদামাঠের সুবিধাটুকু যদি পাওয়া যেত! বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে তো গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেই দিয়েছেন মাঠই হতে পারে দলের পরম বন্ধু, ‘বৃষ্টি হলে মাঠের সহায়তা পেলেও পেতে পারি।’

এই তো কিছুদিন আগেই ভুটানের সঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি ভেজা মাঠের সুবিধা পুরোপুরি আদায় করে নিতে পেরেছিল জেমি ডের শিষ্যরা। ম্যাচটি বাংলাদেশ জেতে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। সে ম্যাচের পর ভুটানি কোচ পেমা বলেছিলেন, ‘কাদা মাঠ পেলে বাংলাদেশ কাতারকেও হারিয়ে দিতে পারে।’ কাল তো কাতার কোচ ফেলিক্স সানচেজ বলেই দিলেন, ‘বৃষ্টি হলে কাদামাঠে খেলতে অভ্যস্ত নই আমরা।’

এটা পরিষ্কার যে বৃষ্টি হলে বাংলাদেশ একটা বাড়তি সুবিধা পাবে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে বৃষ্টিই বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচের ফল এনে দেবে। কাতার বড় দল। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে। ফেলিক্স অবশ্য বাংলাদেশকে সম্মানই দিয়েছেন। হয়তো স্বাগতিক বলেই। এমনকি গুরুত্ব দেননি র‌্যাঙ্কিংয়ের অঙ্ক কেও। তবে এটা ঠিক যেকোনো পরিস্থিতি, যেকোনো বিবেচনাতেই কাতার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একটি দল।

তবে কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ শিবিরে একটা গুমোট পরিবেশ। চোটের কারণে নেই সেরা মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। হলুদ কার্ডের খড়্গ খেলতে দিচ্ছে না রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষকে। তার জায়গায় যে সুশান্ত ত্রিপুরার খেলার কথা, ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে চোট পেয়ে নেই তিনিও। তবে দল আত্মবিশ্বাসী যে লড়াই আজ একটা হবেই—বাংলাদেশ শিবির থেকে ভালো খবর বলতে এটিই। সেই সঙ্গে গোটা দলের প্রার্থনা—আজ সন্ধ্যায় একটু যদি বৃষ্টি হয়!