বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের পরও লঙ্কাজয়

আজ অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন নাঈম ও সাইফ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আজ অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন নাঈম ও সাইফ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে ডি-এলে ৯৮ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ‘এ’। ‘ফাইনালে’ রূপ নেওয়া আজ প্রেমাদাসায় সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ হাসান


সিরিজটায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল পিছিয়ে পড়েছিল ১-০ ব্যবধানে। শেষ পর্যন্ত সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে শ্রীলঙ্কা থেকে হাসিমুখেই কাল দুপুরে দেশে ফিরছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কাকে ৯৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’।


ম্যাচ জেতার পর কোচ চম্পাকা রামনায়েকে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি তথ্য দিয়েছেন, ‘টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে সম্ভবত প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ‘‘এ’’, সেটিও আবার দেশের বাইরে।’ রামানায়াকের তথ্যটা নির্ভুল কিনা, সেটি গবেষণাসাপেক্ষ বিষয়। তবে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে যেভাবে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ, দেশের ক্রিকেটের জন্য এটি বড় সুখবর মনে করেন মিঠুন, ‘এটা খুব দরকার ছিল। আমাদের একটু খারাপ সময় যাচ্ছিল। এই সিরিজ জয় হয়তো আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরতে আত্মবিশ্বাসী করবে আমাদের।’

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ‘এ’ জিতেছিল কঠিন করে। আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেটি আর হয়নি। সাইফ হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩২২ রানের বড় স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’। ১২০ রানের দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছে সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈমের ওপেনিং জুটি। নাঈমের চোখে যখন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার স্বপ্ন, তখন আরেক ঘটনা। ২৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাঁকে রানআউটের চেষ্টা ছিল শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের। গায়ে বল লাগায় রানআউট না হলেও আম্পায়াররা নাঈমকে দিয়েছেন ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট। আর এতেই আপত্তি তোলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নাঈম মোটেও ইচ্ছাকৃতভাবে বল আটকানোর চেষ্টা করেননি বলে দাবি তাদের। এ ঘটনায় খেলা বন্ধ থাকে পাঁচ মিনিট। বাংলাদেশ ম্যাচ রেফারিকে অনুরোধ করে ঘটনার ভিডিও দেখতে। কিন্তু ম্যাচ রেফারি জানান, খেলাটা সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় ভিডিও দেখা যাবে না। আর যে আউট একবার দেওয়া হয়েছে সেটি ফিরিয়ে নেওয়ার নিয়মও নেই।

৬৬ রান করা নাঈমের বিতর্কিত আউটের পরও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটসম্যানদের অগ্রযাত্রা থামানো যায়নি। সাইফের ব্যাট থেকে আসে দ্যুতিময় সেঞ্চুরি। ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ১১০ বলে করেছেন ১১৭। সাইফের ইনিংসের ৫৭ শতাংশ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কানরা শুরু থেকেই নড়বড়ে। বিকেলে বাজে আবহাওয়ায় খেলা থেমে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা করতে পারে ২৪.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান।

অসাধারণ ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কানদের হারিয়ে সাইফের কণ্ঠে তৃপ্তির ছোঁয়া। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও কীভাবে সিরিজ জিতলেন, কলম্বো থেকে মুঠোফোনে সে গল্প শোনাচ্ছিলেন এই তরুণ ওপেনার, ‘সিরিজটা ভালো গেছে আমাদের। প্রথম ম্যাচ হারের পর আমরা সবাই বসেছিলাম। (অধিনায়ক) মিঠুন ভাই সবাইকে নিয়ে বসেছিল। পরের দুটি ম্যাচ আমরা অনেক পরিকল্পনা করে খেলেছি। প্রথম ম্যাচে হারের পর আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ম্যাচে খুব ভালোভাবে জড়িয়ে ছিলাম, ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই। এ কারণে বেশি ভালো লাগছে। চেষ্টা করব সামনেও এটা ধরে রাখতে।’