দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না রামোস

নিজের রেকর্ডের দিনটি জয় দিয়ে রাঙাতে পারলেন না রামোস। নরওয়ের ওমরের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস। ছবি: এএফপি
নিজের রেকর্ডের দিনটি জয় দিয়ে রাঙাতে পারলেন না রামোস। নরওয়ের ওমরের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস। ছবি: এএফপি

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতাই স্পেনকে জিততে দেয়নি নরওয়ে।

নরওয়ে কিংবা স্পেনের কেউই প্রথমার্ধে গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই সাউলের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। এরপর ১-০ স্কোরলাইনেই খেলা শেষ হতে পারত। স্পেনেরও ২০২০ ইউরোর মূলপর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত। বিপত্তি বাঁধে যোগ হওয়া সময়ে। শেষ মুহূর্তে নরওয়ের জশুয়া কিংয়ের পেনাল্টি থেকে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু দল। আর স্পেনের হয়ে রেকর্ড ১৬৮ ম্যাচ খেলার দিনটি জয় দিয়ে রাঙাতে ব্যর্থ হলেন রামোস।

শুরুতে চেপে খেললেও নরওয়ের গতিময় ফুটবলের সামনে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিল স্পেন। তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ বেশ জমজমাটই হয়েছে। প্রথমার্ধে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ওমর এলাবদুল্লাহ। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে তেঁতে ওঠে নরওয়ে। ৬৭ মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের জোরালো শট ক্রসবারে না লাগলে তখনই সমতায় ফিরত তারা। এর আগে সীমানা পাল্টে নেমেই গোল পায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৪৭ মিনিটে বুসকেটসের বাড়ানো বলে ডি বক্সের বাইরে থেকেই শট নেন সাউল নিগুইয়েজ। বলের গায়ে ঠিকানা লিখতে ভুল করেননি সাউল।

নরওয়ের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত স্প্যানিশরা ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে স্কোরলাইনে এগিয়ে থেকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে রক্ষণাত্মক খেলাই কাল হয়ে দাঁড়ায় অতিথিদের জন্য। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন স্পেনের গোলরক্ষক। পেনাল্টি শটে বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি জশুয়া কিং।