কলকাতার দর্শকদের সমর্থন চায় বাংলাদেশ

কলকাতা এখনো মনে রেখেছে মামুনুল ইসলামকে। ছবি: রাশেদুল ইসলাম
কলকাতা এখনো মনে রেখেছে মামুনুল ইসলামকে। ছবি: রাশেদুল ইসলাম

ছেলেটা যা আইএফএ শিল্ডে খেলেছে না! সেই ছেলেটা আবার কে ? বাংলাদেশে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরের মাঠে আজ সকালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন চলল। চোখ জুড়ানো সবুজ ঘাসের মাঠে কত ফুটবলারের-ই কলরব। তবে সবাইকে ছাপিয়ে রব উঠল মামুনুল , মামুনুল... নামে। অনুশীলন শেষে অটোগ্রাফ ও ছবির তোলার বায়না মেটাতে হলো বেশ কয়েকবার।

গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সবার চোখই খুঁজে বেড়াল হাল আমলের বাংলাদেশের ফুটবলের সাবেক অধিনায়ককে। সেই যে ২০১৪ সালে শেখ জামালের জার্সিতে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ড মাতিয়ে গিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। টুর্নামেন্টে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন দারুণ খেলে মোহনবাগান, ইস্ট বেঙ্গলকে হারিয়ে। মুগ্ধতাটা এতটাই ছিল, কয়েক মাসের ব্যবধানে ঢাকায় গিয়ে তাঁকে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সৌরভ গাঙ্গুলীর ফ্র্যাঞ্চাইজি অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা। সেটি এখন ক্ষয়ে যাওয়া অতীত। তবে ৫ বছর পরে এসেও কলকাতার মানুষ এখনো বুঁদ হয়ে আছেন তাঁর সেই বাম পায়ের ফুটবল শৈলীতে।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে সেই মামুনুল যখন কলকাতায়, তখন তো স্মৃতির ঘুরি ওড়া উড়ি করবেই। পরশু কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে ৩৪ বছর পর কলকাতার মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল (১৯৮৫ সালে শেষবার বাংলাদেশ ফুটবল দল খেলেছিল কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে)। হালে দুই দলের শক্তির যত পার্থক্যই থাকুক না কেন, কলকাতায় ম্যাচ হওয়াটাই সাধারণ দর্শকদের তাতানোর জন্য যথেষ্ট। অনেক আগেই বেজে উঠেছে দুই বাংলায় লড়াইয়ের দামামা। ম্যাচের দিন কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দর্শকের ঢল নামতে যাচ্ছে নিশ্চিত। সেদিন স্বাগতিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষেও গলা ফাটানোর মতো মানুষের অভাব হওয়ার কথা নয়।

অতীতে কলকাতায় খেলার সুবাদে অন্তত এমনটাই মনে করছেন মামুনুল। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল কলকাতার সমর্থন পাবেন বলে মনে করেন তিনি ,‘ আমি বাঙালি । কলকাতায় এলে বিদেশ ভাবি না। এপার - ওপার বাংলার মানুষ এক, ভাষা এক । দুই বাংলার মধ্যে আমি ভেদাভেদ পাই না। কলকাতায় ম্যাচ হওয়া মানে মাঠে অনেক দর্শক থাকবে। আমি মনে করি কলকাতার সমর্থন পাবে বাংলাদেশ।’

যুব ভারতীয় স্টেডিয়াম মানেই প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের কান ফাটানো চিৎকার। এটাকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখছেন মামুনুল ,‘শঙ্কার কিছু নেই। বেশি দর্শকদের সামনে খেলতে ভালো লাগে। এটা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। কলকাতায় আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। দেশের জার্সিতে এখানে খেলার সুযোগ পেলে সেরা দিয়ে সকলের মন ভরানোর চেষ্টা করব।’