এবাদতের লক্ষ্য টেস্টে ভালো করা

নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ টেস্ট খেলা এবাদত দলে ফিরতে চান ভালোভাবে। ফাইল ছবি
নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ টেস্ট খেলা এবাদত দলে ফিরতে চান ভালোভাবে। ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট বাংলাদেশকে বেশ কিছু অস্বস্তি উপহার দিয়েছে। নিজেদের মাঠে কোনো পেসার নিয়ে না নেমে বোলিং বিভাগের রুগ্‌ণ অবস্থার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাঝেই তরুণ ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার ব্যাপারে অনাসক্তির কথা জানা গেছে। এমন সব অস্বস্তিকর তথ্যের মাঝে ভিন্ন কিছু উপহার দিয়েছেন এবাদত হোসেন। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজ জেতা এই পেসার জানিয়েছেন, টেস্টই তাঁর বর্তমান ধ্যানজ্ঞান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি অনানুষ্ঠানিক টেস্ট অমীমাংসিতভাবে শেষ হলেও ওয়ানডে সিরিজে হতাশ হতে হয়নি এবাদতদের। প্রথমে পিছিয়ে পরেও ওয়ানডেতে জয় নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এবাদত। এর ফলে বৃষ্টি আইনে অনেক এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ এ দল। সিরিজ জেতায় তৃপ্ত এবাদত বলছেন শুধু ওয়ানডে নয় দীর্ঘ পরিসরেও নাকি বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল, ‘বেশ ভালো লাগছে ওয়ানডে সিরিজটি জিততে পারায়। টেস্টেও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো খেলেছি। ওদের চেয়ে আমরা এগিয়ে ছিলাম। আমার কাছে আসলে অনেক বড় একটি ব্যাপার মনে হচ্ছে যে আমরা যারা পেস বোলার আছি এবং চাম্পকার সঙ্গে কাজ করেছি, লক্ষ্য ছিল ওখানে গিয়ে টেস্টে ভালো করব। টেস্টে সেভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারিনি, তবে যতটুকু কোচ প্ল্যান দিয়েছিল সেই অনুসারে কাজ করতে পেরেছি।’

আগামী মাসেই ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হলেও এরপর দুটি টেস্ট খেলবে দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টেস্টকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতীয় দলের প্রায় সবাইকে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দুই রাউন্ডে খেলানো হচ্ছে। এবাদতও বলছে, আপাতত ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন সংস্করণেই ভালো করার ইচ্ছা তাঁর, ‘আসলে টেস্টেই মনোযোগ আমার। চার দিনের ম্যাচের আগে আমরা ওখানে যাওয়ার পরে লাল বলেই কাজ করেছি চম্পকার সঙ্গে। আসলে একটি প্ল্যান দিয়েছিল ধারাবাহিকতা বাড়ানোর জন্য। সেটা নিয়ে কাজ করেছি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমরা এই টেস্টে (শ্রীলঙ্কা সফরে) আসলে বেশ ভালো বোলিং করেছি। ভারত সফরের আগে আমাদের কিছুদিন পরে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হবে। এখন এনসিএল আছে। এনসিএলে গুরুত্ব থাকবে। এনসিএলে যদি ভালো করি তাহলে দেখা যাবে।’