বাংলাদেশের জার্সি পরে কলকাতায় ঘুরছেন কে

কোচ জেমি ডের সঙ্গে সুবুল চন্দ্র। ছবি: প্রথম আলো
কোচ জেমি ডের সঙ্গে সুবুল চন্দ্র। ছবি: প্রথম আলো

গায়ে বাংলাদেশের লাল জার্সি, মাথায় লাল হ্যাট। আপাদমস্তক বাংলাদেশের প্রতীকী রূপে গতকাল বিকেলে জামাল ভূঁইয়াদের টিম হোটেলে হাজির এক আগন্তুক। মুখের কিছু অংশ হ্যাটে ঢেকে থাকায় হোটেলের লবির অপর প্রান্তে বসে মানুষটিকে চেনার উপায় নেই। বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডেও কয়েকবার ফিরে তাকিয়েছেন তাঁর দিকে। ওখানে উপস্থিত থাকা সবারই কৌতূহল বাংলাদেশের জার্সি পরা মানুষটি কে?

এগিয়ে যেতেই, আরে এ তো ‘বুলু ভাই।’ মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যাতায়াত আছে , এমন কারও কাছে অজানা নন। মূলত গেট ম্যান হিসেবেই তাঁর পরিচয়। সেই বুলুই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ দেখতে পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কলকাতায় হাজির। শনিবার রাতে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে গতকাল পৌঁছেছেন কলকাতায়। উঠেছেন শিয়ালদহর এক হোটেলে।

দিনভিত্তিক মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেন সুবুল চন্দ্র দাস। যেদিন কাজ নেই সেদিন বেকার। অথচ দেশের খেলা দেখার আশায় পাড়ি দিয়েছেন আরেক দেশে। কলকাতায় খেলা দেখার সুযোগটি নষ্ট করতে চাননি বলেই জানালেন বুলু, ‘সারা জীবন তো খেলা খেলা করেই পার করে দিলাম। বাংলাদেশের ফুটবলের এত বড় একটা ম্যাচ, তাই দুই-একজনের সহায়তায় কলকাতা চলে এলাম। এখন একটি টিকিট পেলে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারব। একজন কথা দিয়েছেন আমাকে একটা টিকিট দেবে।’

মাঠের মানুষের বাইরে আরও একটি পরিচয় আছে বুলুর। তারকা ক্রিকেটারদের লাল চা খাইয়ে মন জয় করার সুনাম আছে তার। বিশেষ করে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি তো বুলুর লাল চায়ের বড় ভক্ত। এক সফরে বুলুর হাতে বানানো চা খেয়ে তাঁর চায়ের ভক্ত হয়ে যান ধোনি। চায়ের সুবাদে ধোনির সঙ্গে বুলুর পরিচয়টাও অনেক গভীর। তাঁর হাতের চা খাওয়ার পর দিনই মিরপুরে ক্যারিয়ারের ১০০তম সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকারও।

সেই বুলুই গতকাল থেকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়াদের। এবার কার ভাগ্য খুলবে?