'সাকিব আর আমি হাসাহাসি করেছি'

গুঞ্জনে ভীষণ মজা পেয়েছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
গুঞ্জনে ভীষণ মজা পেয়েছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে নায়ক বনে গিয়েছিলেন। পরের বিশ্বকাপে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক মন্থর ইনিংস (৪১ বলে ২৮) খেলে অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। সমালোচনাই শুধু নয়, সাকিব আল হাসান আর তাঁকে জড়িয়ে কিছু গুঞ্জনও বেরিয়েছে। ওই ইনিংসের পর সহ-অধিনায়ক সাকিব নাকি পরের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহকে একাদশের বাইরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে!

এ নিয়ে সাকিব কথা বলেছেন। মাহমুদউল্লাহকে ভিডিও বার্তা দিয়ে পর্যন্ত বলতে হয়েছে, যে কথা হচ্ছে, সেটি ঠিক নয়। গতকাল প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুরোনো প্রসঙ্গটা আবার উঠল। মাহমুদউল্লাহ বললেন, গুঞ্জনটা শুনে তিনি আর সাকিব বেশ মজা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দল খারাপ করে, তখন অনেকে অনেক কথা বলে। এটা শুনে ওকে আমি ফোন দিয়েছি (হাসি)। আমি আর সাকিব রীতিমতো হাসাহাসি করেছি! এটা নিয়ে আসলে একেবারেই কথা বলতে চাচ্ছিলাম না, কিন্তু বাধ্য হয়ে পরে ওই ভিডিও বার্তা দিতে হয়েছে। যাঁরা আমাদের পছন্দ করে, যারা সাকিবকে পছন্দ করে, তারা হয়তো অনেক কিছু ভাবতে পারে কী হলো না হলো। আমি পরিষ্কার করতে চেয়েছি, সাকিবের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে কখনই কোনো ধরনের বিরোধ হয়নি।’

শুধু সাকিবের সঙ্গে নয়, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ‘পঞ্চপাণ্ডবে’র চারজনেরই ভীষণ ভালো সম্পর্ক। একসঙ্গে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। নিজেদের সঙ্গে বোঝাপড়া খুব ভালো। এখানে ভুল–বোঝাবুঝি যদি হয়ও, সেটির সমাধানের উপায়ও তাঁদের জানা। তাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই দলটা টেনে চলেছেন এখনো। কিন্তু এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার থাকতে থাকতে যোগ্য বিকল্প তৈরি না হলে একটা সংকটে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট।

মাহমুদউল্লাহ আশাবাদী সংকটময় মুহূর্ত তৈরি হওয়ার আগেই ভালো ভালো খেলোয়াড় চলে আসবে বাংলাদেশ দলে, ‘সাকিব, মাশরাফি ভাই, মুশফিক, তামিম—এরা বাংলাদেশের কিংবদন্তি। এই চারজন। আমি না। আমি ওদের কাতারেও নেই! ওরা আমার চেয়ে অনেক ভালো খেলোয়াড়। তারা অনেক বছর ধরে খেলছে, বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। চারজনকেই অসম্ভব পছন্দ করি। ওরা কীভাবে খেলে, কীভাবে অনুশীলন করে চেয়ে দেখি। সতীর্থ হিসেবে, মাঠের ভেতরে বা বাইরে ওদের ভালো কাজগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, একটা সময় সবাই অবসর নেবে। সবাই তো সারা জীবন খেলবে না। আমার কাছে মনে হয় ভবিষ্যতের খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। হ্যাঁ, যারা আসছে, তারা হয়তো ধারাবাহিক নয়। কিন্তু তাদের সেই সামর্থ্য আছে বলে মনে করি। তারা যখন ধারাবাহিক হয়ে যাবে, তখন অনেক ভালো খেলবে। আমার কাছে মনে হয় সৌম্য (সরকার), লিটন (দাস), মোসাদ্দেক (হোসেন), (মেহেদী হাসান) মিরাজ, রুম্মান (সাব্বির রহমান), মোস্তাফিজ—এঁরা পারবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।’

মাহমুদউল্লাহর কথাই যেন সত্যি হয়!