২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি

২০২৩ বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ পেতে চায় বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
২০২৩ বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ পেতে চায় বাংলাদেশ। ফাইল ছবি

২০২৩ বিশ্বকাপ এককভাবেই আয়োজন করবে ভারত, আইসিসির সূচি আপাতত এভাবে আছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা চালাচ্ছে টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক হতে। দুবাইয়ে আইসিসি সভা শেষে দেশে ফিরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন।

১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১১—উপমহাদেশে এখনো পর্যন্ত যে তিনটি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছে, কোনোটিই এককভাবে আয়োজিত হয়নি। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে ছিল পাকিস্তান। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। আর ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আয়োজক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ। ২০২৩ বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে ভারত। বিসিবি চেষ্টা করছে সহ-আয়োজক হতে। বিসিবি সূত্র বলছে, নকআউট পর্বের ম্যাচ যদি নাও পাওয়া যায়, অন্তত লিগ পর্বে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো যেন নিজেদের মাঠে আয়োজন করতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল আজ বললেন, ‘চেষ্টা করছি (সহ-আয়োজক হতে)। যদি আমাদের নতুন স্টেডিয়ামটি (পূর্বাচলে) করতে পারি, কিছু ম্যাচ এখানে নিয়ে আসার বিষয়টি বলতে আমাদের সহজ হবে। সম্ভাবনা আছে, একেবারে যে নেই, তা না। এটা নিয়ে ওদের (ভারতের) কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি।’

এ ক্ষেত্রে বিসিবি নিশ্চয়ই তাকিয়ে থাকবে বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর দিকে। সৌরভের বোর্ড সভাপতি হওয়াটা বড় সুখবর মনে করছেন নাজমুল, ‘এটি খুব ভালো খবর যে সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছে। আমাদের জন্য এটা খুবই ভালো হবে। আমাদের সঙ্গে তার সব সময়ই ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্পর্ক ছিল। এটা আরও ভালো হবে।’

২০২৩ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হতে পারবে কি না, সেটা এখনো বলা না গেলেও ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হলো? এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি এখনই কিছু বলতে পারছেন না, ‘আইসিসি সভায় পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। আমাদের একটি পর্যবেক্ষণ দল যাবে। পর্যবেক্ষণ দলের দেওয়া রিপোর্টের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। নিরাপত্তা দল যাচ্ছে, আমরা যতটা শুনেছি যে একটু দেরি করতে হচ্ছে। ওরা একটি চিঠি দিয়েছে যে ১৭ তারিখে (পর্যবেক্ষক) দল যাবে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা আসলে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এটা পুরোটা আমাদের হাতে না। নিরাপত্তা আমাদের কাছে বেশি প্রাধান্য পাবে। সেটা যদি ঠিক না থাকে তাহলে কোনো লাভ হবে না।’