পোড়াবে পেনাল্টি না পাওয়ার আক্ষেপ

গোল করার আনন্দে ভেসে গেলেন সাদ উদ্দিনরা। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার আক্ষেপ থাকবে। ছবি: এএফপি
গোল করার আনন্দে ভেসে গেলেন সাদ উদ্দিনরা। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার আক্ষেপ থাকবে। ছবি: এএফপি
>

বিশ্বকাপ এ এশিয়া কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে দু-দুটি পেনাল্টি বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ

ঢাক ঢাক গুড় গুড় রব উঠেছিল কয়েক দিন ধরে। বিশেষ করে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষে। এশিয়ার সেরা দলের বিপক্ষে হারলেও কী লড়াইটাই না করেছিল বাংলাদেশ! তখন থেকেই বুদ্‌বুদ উঠেছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে, এবার হয়তো ভারতের মাটিতে জয় পাওয়া সম্ভব। কিন্তু অলক্ষ্যে বসে কী কেউ হেসেছিল! সমর্থকেরা দুষতে পারেন ম্যাচের রেফারিকে। বাংলাদেশের দু-দুটি প্রাপ্য পেনাল্টি যে তিনি দেননি!

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইপর্বের এ ম্যাচে স্কোরলাইন বলছে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে তেমন কষ্ট হওয়ার কথা না সমর্থকদের। কিন্তু এসবই কাগজে-কলমের কথা। ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন, জিততে জিততে হেরেছে বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া গোলের ব্যবধান টিকে ছিল ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। ঠিক তখনই হৃদয়ভঙ্গ। এভাবে ড্র করায় পেনাল্টি না পাওয়ায় ক্ষতটা তো জেগে উঠবেই।

প্রথম পেনাল্টি বঞ্চিত হওয়া ম্যাচ শুরুর ২০ সেকেন্ডের মাথায়। সেটি বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণও। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেছিলেন লেফট উইঙ্গার ইব্রাহিম। তাঁকে শুরুতে ঠেকাতে পারেননি ভারতের ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে। পেছন পেছনে দৌড়ে আসা রাহুল ঠিক বক্সের ভেতরে ইব্রাহিম ঢোকা মাত্রই তাঁকে ফাউল করেন। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে বলের সঙ্গে কোনো সংযোগ ঘটেনি রাহুলের। বরং ইব্রাহিমের পায়ে মেরেছিলেন তিনি। ইব্রাহিম পড়ে গেলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি! আরও বড় দুর্ভাগ্য হলো, এ ম্যাচে ছিল না ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। এ প্রযুক্তি থাকলে আজ হয়তো ভারতের মাটিতে প্রথম জয়টা পেয়ে যেত বাংলাদেশ।

ম্যাচের আট মিনিটের মাথায় সেই রাহুল ভেকেই আবার আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন রেফারিকে। ভারতের বক্সের মধ্যে বাংলাদেশের খেলোয়াড়কে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ ট্যাকল করেন এ রাইট ব্যাক। কিন্তু এ যাত্রায়ও তা রেফারির চোখে পড়েনি। অথচ এ দুবারেই টিভি ধারাভাষ্যকারেরা বলেছেন, প্রাপ্য পেনাল্টিই পায়নি বাংলাদেশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই বঞ্চিত হওয়া নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। শুধু এ দেশের সমর্থকেরাই নন, ভারতের ফুটবলপ্রেমীরাও এ দুটি সম্ভাব্য পেনাল্টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এ দুটি পেনাল্টি না পাওয়ায় তাই ম্যাচের ফলটা আক্ষেপই ছড়াবে বেশি। ইব্রাহিমের শট গোলবারে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া, জীবনের দুর্দান্ত চিপ—এসব চেষ্টা ফলে গেলেও দুটি পেনাল্টি না পাওয়ার স্মৃতি ভুলতে সময় লাগত। কিন্তু চেষ্টা যেমন ফলেনি তেমনি রেফারির দু-দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপও কমবে না। পোড়াবে অনেক দিন!