নিজেকে 'কয়েদি' মনে হচ্ছে সাইফউদ্দিনের

কী করবেন বুঝতে পারছেন না সাইফউদ্দিন। ছবি: প্রথম আলো
কী করবেন বুঝতে পারছেন না সাইফউদ্দিন। ছবি: প্রথম আলো

মোহম্মদ সাইফউদ্দিনের সময়টা আপাতত ঢাকা-ফেনী করে কাটছে। চোটের কারণে জাতীয় লিগ খেলতে পারছেন না। অনুশীলনও করতে পারছেন না। চিকিৎসক-ফিজিওর পরামর্শে মাঝেমধ্যে চোটের স্ক্যান করাতে ঢাকায় আসছেন। আবার ফিরে যাচ্ছেন নিজ শহর ফেনীতে। এই মুহূর্তে সাইফউদ্দিনের দিন লিপি এটাই।

দীর্ঘদিন কোমরের পেছনে জটিল এক চোটে ভুগছেন সাইফউদ্দিন। জুলাইয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেয়, চোটটা বুঝতে বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হবে দেশের বাইরে। কবে যাবেন এই পরীক্ষা দিতে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি থমকে আছে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র ওপর। এরই মধ্যে সাইফউদ্দিনের স্ক্যান রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে। আরও একটি পাঠানো হবে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সাইফউদ্দিন পারছেন না অনুশীলন করতে, ম্যাচ খেলতে। নিশ্চিত হতে পারছেন না বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষাটাই-বা কবে দেবেন।

নিজেকে তাই কয়েদির সঙ্গে তুলনা করছেন সাইফউদ্দিন, ‘মন তো চায় কাল থেকেই মাঠে নামি। কিছুটা জেল খানার কয়েদির মতো। দেখছি, কিন্তু খেলতে পারছি না। এটা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বিরক্তিকর। দুই-এক সপ্তাহ হলে ঠিক আছে, কিন্তু এক মাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় সব ক্রিকেটারেরই খারাপ লাগা কাজ করে। এটা জীবনের অংশ, খেলতে গেলে চোটে পড়তে হবে। একটা লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এটাই মানিয়ে নিয়ে চলছি। চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারি। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে নামাই আমার মূল লক্ষ্য।’

ভারত সফর কি তবে অনিশ্চিত সাইফউদ্দিনের? সেটিও বলার সময় হয়নি বলে মনে করেন ২২ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার, ‘এটা আসলে বলা কঠিন। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো মনে করবে ওটাই করব।’ আগেও ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন তিনি। এবারও যদি একইভাবে খেলতে হয়, খেলবেন? এটিও সাইফউদ্দিন ছেড়ে দিচ্ছেন টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর, ‘এ সিদ্ধান্ত দেবে ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচকেরা। আমাদের মেডিকেল টিমে যাঁরা আছেন, তাঁরা দেখবেন। আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবাই যেটা ভালো মনে করবে সেটাই করব।’

বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষায় যদি অস্ত্রোপচার কিংবা বোলিং অ্যাকশন বদলাতে হয় সেটিতেও আপত্তি নেই সাইফউদ্দিনের, ‘ক্যারিয়ার বাঁচাতে যেকোনো কিছু করতে হবে। যদি মাশরাফি ভাইয়ের কথা বলেন অনেকগুলো অস্ত্রোপচার করেও খেলে গেছেন। আমার মাত্র শুরু, এখনই করলে হয়তো আমার জন্য কিছুটা কঠিন হবে। কিন্তু সবকিছু করতে রাজি আছি। ক্রিকেট আমার রুটি-রুজি। এটা আমার পেশা। এটার জন্য সবকিছু করতে রাজি আছি।’