শেখ কামাল টুর্নামেন্টে খেলছে না আবাহনী?

শেখ কামাল ক্লাব কাপে খেলবে না আবাহনী। প্রথম আলো, ফাইল ছবি
শেখ কামাল ক্লাব কাপে খেলবে না আবাহনী। প্রথম আলো, ফাইল ছবি
>শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের এবারের আসরে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা আবাহনী। তাদের পরিবর্তে কোন ক্লাব খেলবে, আদৌ কোনো ক্লাব খেলবে কি না, সেটা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী।

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ১৯ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা ছিল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ক্লাপের এবারের আসরের। একদম শেষ মুহূর্তে এসে আয়োজকদের ভাবনায় ফেলেছে আবাহনী। শোনা যাচ্ছে, টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা।

এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি, কেন ঢাকা আবাহনী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফুটবলপাড়ায় জোর গুজব, এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত পছন্দসই দল গড়তে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এই টুর্নামেন্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা আবাহনী। বিদেশি নামীদামি ক্লাবগুলোর সঙ্গে ভঙ্গুর অবস্থায় মাঠে নামতে চায় না তারা।

এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা না গেলেও শোনা যাচ্ছে ঢাকা আবাহনীর জায়গায় খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের গোকুলম এফসিকে।
ঢাকা আবাহনী যদি সরে যায়, তাহলে এই টুর্নামেন্ট খেলার জন্য স্থানীয় ক্লাব থাকবে মাত্র দুটি—বসুন্ধরা কিংস ও আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী। সঙ্গে থাকবে ছয়টি বিদেশি ক্লাব—ভারতের মোহনবাগান এসি ও চেন্নাই সিটি এফসি, মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানো এফসি, মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব ও লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস এফসি।

‘এ’ গ্রুপে আছে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব, ভারতের মোহনবাগান, লাওসের ইয়র্ক এলিফ্যান্টস এফসি এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। গ্রুপ ‘বি’র দলগুলো হলো : বসুন্ধরা কিংস, চেন্নাই এফসি, তেরাঙ্গানো। বাকি দল হিসেবে খেলবে গোকুলম এফসি। সব ম্যাচ চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দুবার এই আয়োজন করা হয়েছিল—২০১৫ ও ২০১৭ সালে। প্রথম আসরে আট দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব।