ধোনি নিজে কী চায়, তা গুরুত্বপূর্ণ সৌরভের কাছে

বিসিসিআই সভাপতি হয়েই ধোনি প্রসঙ্গে কথা বলতে হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলিকে। ফাইল ছবি
বিসিসিআই সভাপতি হয়েই ধোনি প্রসঙ্গে কথা বলতে হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলিকে। ফাইল ছবি

২০০৮ সালের নভেম্বর। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তখন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁকে আবারও ভারতের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সে ম্যাচে। সে বছরেরই শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে সৌরভকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেছিলেন ধোনি। ১১ বছর পর দুজন এক অর্থে সেই ঘটনার উল্টো অবস্থানে। বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সৌরভ। আর ধোনি দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে।

বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ধোনির ক্যারিয়ারের শেষটা কেমন হবে, সে ব্যাপারে প্রভাব রাখার সুযোগ পাচ্ছেন সৌরভ। ২৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নেবেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক। ঠিক তার পরদিনই বৈঠকে বসবেন নির্বাচক কমিটির সঙ্গে। আলোচনা করবেন নানা ব্যাপারে। এর মধ্যে একটি বিষয় থাকবে—ধোনির ভবিষ্যৎ।

বিশ্বকাপের পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি ৩৮ বছর বয়সী ধোনি। সৌরভ এর আগে সব সময়ই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেছেন, সিদ্ধান্তটা কী হবে তা ধোনির পরিষ্কার বলে দেওয়া উচিত। নিজের অবসর নিয়ে নির্বাচক কমিটি, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ করা উচিত ধোনির, এমনটাই বলে এসেছেন সৌরভ। এখন বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্বাচকেরা ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন, তা সবার আগে জানতে চান সৌরভ, ‘নির্বাচকেরা কী ভাবছেন তা জানা উচিত। এটা আমার মতামত দেওয়ার কিছু না। এর আগে আমি বিষয়টির সঙ্গে ছিলাম না। নির্বাচক কমিটির সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক ২৪ অক্টোবর।’

প্রয়োজন পড়লে ধোনির সঙ্গেও কথা বলতে চান সৌরভ, ‘ধোনি কী করতে চায়, কী করতে চায় না...সে কী চায় তা গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত নির্বাচকদের সঙ্গে ধোনির এ নিয়ে খোলাখুলি কথা হয়েছে। কিন্তু আমি এখনো তা জানি না। কোনো পক্ষই এ নিয়ে আমার সঙ্গে এখনো পর্যন্ত কথা বলেনি।’