কামরানের এ কেমন 'সর্বকালের সেরা পাকিস্তান দল'

নিজের চোখে নিজেই পাকিস্তানের ইতিহাসের সেরা উইকেটরক্ষক কামরান আকমল। ছবি : এএফপি
নিজের চোখে নিজেই পাকিস্তানের ইতিহাসের সেরা উইকেটরক্ষক কামরান আকমল। ছবি : এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক উইকেট রক্ষক কামরান আকমল একটা একাদশ বানিয়েছেন। পাকিস্তানের সেরা একাদশ। সে ভিডিও প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেটভিত্তিক এক ইউটিউব চ্যানেল। সেই একাদশ দেখে মোটামুটি সবারই চক্ষু চড়কগাছ!

একাদশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন কোন জিনিস মাথায় রেখেছেন কামরান আকমল? সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। যাদের খেলতে দেখেছেন শুধু তাদেরই দলে রেখেছেন তিনি। তাঁর আগে যারা পাকিস্তানের জার্সি পরে খেলেছেন, তাদের একাদশে রাখেননি আকমল।

তো কেমন হয়েছে কামরান আকমলের একাদশ? আসুন দেখে নেওয়া যাক।

ওপেনার হিসেবে কামরানের পছন্দ হয়েছে সাবেক তারকা ওপেনার সাঈদ আনোয়ারকে। সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। মুদাসসর নজর থেকে শুরু করে মহসিন খান, মাজিদ খান, হানিফ মোহাম্মদ, আমির সোহেল, রমিজ রাজা— কেউই কলকে পাননি কামরানের কাছে।

তিন নম্বরে কামরানের পছন্দ হালের সেনসেশন বাবর আজম। মিডল অর্ডারে আজমের সঙ্গে খেলার জন্য কামরান নিজের ভাই উমর আকমলকে দলে রেখেছেন। মিডল অর্ডারে কামরান আরও রেখেছেন শোয়েব মালিককে। ইনজামাম উল হক থেকে শুরু করে ইউনিস খান, সেলিম মালিক, মোহাম্মদ ইউসুফ, জহির আব্বাস, জাভেদ মিয়াঁদাদ—কাউকেই নিজের ভাইয়ের চেয়ে যোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলে মনে করেননি কামরান। নিজের ভাইকে দলে রাখার পেছনে একটা যুক্তিও দাঁড় করিয়েছেন তিনি। উমর আকমল যেভাবে আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেন, তা বড্ড ভালো লাগে কামরানের। তাই পাকিস্তানের সেরা একাদশে ভাইকে রেখেছেন তিনি। যদিও দুই বছর পর দলে ফিরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন উমর।

>

পাকিস্তানের ইতিহাসের সেরা একাদশ নির্বাচন করেছেন সাবেক পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। একাদশে নিজেকে তো রেখেছেনই, রেখেছেন ভাই উমর আকমলকেও। অথচ এই একাদশে জায়গা হয়নি ওয়াকার ইউনিস, ইনজামাম উল হক, মোহাম্মদ ইউসুফ, জহির আব্বাস, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইমরান খানের মতো তারকাদের।

কামরানের দলে অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাক ও লেগ স্পিনার ব্যাটসম্যান শহীদ আফ্রিদি। জায়গা হয়নি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের। আসিফ ইকবাল, ইন্তিখাব আলমদেরও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ওদিকে দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে মঈন খান বা রশিদ লতিফ নয়, জায়গা দিয়েছেন নিজেকে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো পাকিস্তানি উইকেটরক্ষকের চেয়ে নিজের অবদান বেশি, এমনটাই মানেন তিনি।

দলের একমাত্র স্পিনার সাকলাইন মুশতাক। জায়গা পাননি আবদুল কাদির বা মুশতাক আহমেদ। পেসার হিসেবে দলে দুজনকে রেখেছেন কামরান। দলে আছেন ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আখতার। জায়গা পাননি ওয়াকার ইউনিস।

ভিডিওতে কামরান বলেছিলেন, যাদের খেলতে দেখেছেন শুধু তাদেরই দলে রেখেছেন কামরান। তাঁর আগে যারা পাকিস্তানের জার্সি পরে খেলেছেন, তাদের একাদশে রাখেননি আকমল। ইমরান, মিয়াঁদাদ, জহির আব্বাাসদের ক্ষেত্রে এ যুক্তি প্রযোজ্য হলেও ওয়াকার, ইনজামামরা কিন্তু খেলা ছেড়েছেন কামরান অভিষিক্ত হওয়ার পরেই।