সরফরাজকে কখনো পছন্দ করত না মিসবাহ: মঈন খান

সরফরাজের এমন মূর্তি আর দেখা যাবে কি? ছবি: এএফপি
সরফরাজের এমন মূর্তি আর দেখা যাবে কি? ছবি: এএফপি

সরফরাজ আহমেদ কেন পাকিস্তানের অধিনায়ক? এ প্রশ্ন অনেক করা হয়েছে। এমনকি পাকিস্তান দলে কীভাবে সরফরাজ জায়গা পান, সে প্রশ্নও উঠত। সে সব আলোচনা থামিয়ে দিয়ে দুদিন আগে পাকিস্তানের সব সংস্করণের দলের অধিনায়কত্বই কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। এমন দুঃসময়ে অন্তত একজনকে পাশে পাচ্ছেন সরফরাজ। তাঁকে বাদ দেওয়ায় কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক অধিনায়ক মঈন খান।

পাকিস্তানকে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এনে দিয়েছেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন অনেকেই। টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ২০১৪ সালে। ওয়ানডেতে অপেক্ষাটা একটু কম। ২০১৬ সালের পর থেকে ওয়ানডেতেও কোনো সেঞ্চুরি নেই এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। সর্বশেষ ৭ ওয়ানডেতে ৭১ রান করেছেন সরফরাজ। টি-টোয়েন্টিতেও রান পাচ্ছিলেন না বহুদিন। ফলে শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবল ধোলাই হওয়ার পর আর রক্ষে হয়নি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলেই রাখা হয়নি তাঁকে।

অধিকাংশ ক্রিকেট বোদ্ধাই এতে খুশি। সাধারণ সমর্থকেরাও স্বাগত জানাচ্ছেন এ সিদ্ধান্তে। কিন্তু সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মঈন খান এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত। এআরওয়াই নিউজে এ সিদ্ধান্তকে কোচদের ব্যক্তিগত ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন মঈন, ‘মিসবাহ ও ওয়াকার কখনো সরফরাজকে পছন্দ করেনি। আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি যে পিসিবি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরফরাজকে বাদ দিয়েছে। সে পাকিস্তানকে টানা ১১টি সিরিজ জিতিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। খারাপ পারফরম্যান্সের কথা বলে তাকে বাদ দিতে পারেন না।’

এর আগে শোয়েব আখতার অবশ্য সরফরাজের বাদ দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন টুইটারে, ‘সরফরাজের এমন হবে আমি জানতাম। এর জন্য সেই দায়ী, অন্য কেউ নয়। দুই বছর ধরে বলছি উন্নতি করতে।’ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আরও যোগ করেছেন, ‘যা ঘটেছে তার দায় ওর। অন্য কেউ এ জন্য দায়ী নয়। আমি বলে দিচ্ছি, ওরা দলেও রাখবে না তাকে। আমি নিশ্চিত করে বলে দিচ্ছি। ওকে আর কখনো সুযোগ দেওয়া হবে না।’