ইউনাইটেডে থামল লিভারপুলের জয়রথ

রাশফোর্ডে গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড, কিন্তু জয় পায়নি তারা। ছবি: রয়টার্স
রাশফোর্ডে গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড, কিন্তু জয় পায়নি তারা। ছবি: রয়টার্স

এক দল ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগে ১২তম। অন্য দল ড্র কী জিনিস সেটাই ভুলে গেছে, ৮ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে শীর্ষে। এমন এক ম্যাচে লিভারপুলই ছিল পরিষ্কার ফেবারিট। ওল্ড ট্রাফোর্ডেও নতজানু হয়ে ম্যাচ শুরু করতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। কিন্তু শুধু শুধু তো আর ইংল্যান্ড বা বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ বলা হয় না এ ম্যাচকে। সবাইকে বিস্মিত করে শেষ দশ মিনিটেও হারের শঙ্কায় ছিল লিভারপুল। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলে দেওয়া ম্যাচে ১-১ সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল একটু সাবধানী খেলছিল। স্বাভাবিকভাবেই লিভারপুলের প্রভাব ছিল বেশি। কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই আক্রমণের ধার বেড়েছে ইউনাইটেডের। তারই ফল মিলেছে ৩৬ মিনিটে। প্রথমার্ধ শেষেও বলের ছোঁয়া পাওয়ায় দুই গোলরক্ষকের চেয়ে পিছিয়ে থাকা রাশফোর্ডই ইউনাইটেডের নায়ক। ডেনিয়েল জেমসের দুর্দান্ত এক ক্রসে পা ছুঁয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গর্জন তুলে দিয়েছেন মার্কাস রাশফোর্ড। এ গোল নিয়ে যদিও কিছুটা বিতর্ক থাকবেই। কারণ গোলের একটু আগে একটি ফাউল করেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সেটা আমলে নেয়নি।

প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফিরেছিল লিভারপুল। কিন্তু ৪৩ মিনিটে সাদিও মানের করা সে গোল এবার ঠিকই বাতিল করেছে ভিএআর। গোলের আগে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় হাতে আলতো ছোঁয়া লেগেছিল বলে। সে কারণে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল। বহুদিন পর দুর্দান্ত ফুটবল দেখিয়ে পুরস্কারের তৃপ্তি নিয়ে বিরতিতে গেছে ইউনাইটেড।

দ্বিতীয়ার্ধেও গুছিয়ে নিতে সময় লেগেছে লিভারপুলের। মোহাম্মদ সালাহর অনুপস্থিতি এ মৌসুমের পরিচিত অল রেডের দেখা মেলেনি। গোলের দেখা মিলতে মিলতে তাই ৮৫ মিনিট। সেটাও কিনা এল অ্যাডাম লালানার পা থেকে। অ্যান্ডি রবার্টসনের ক্রসে হঠাৎ ইউনাইটেড রক্ষণ ফাঁকা হয়ে যায়। পৃথিবীর সহজতম গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেননি লালানা। সেই লালানা যিনি ২০১৭ সালের মে মাসের পর লিভারপুলের জার্সিতে কোনো গোলের দেখা পাননি। সমতায় ফেরার পর লিভারপুলের সেরা মূর্তি দেখা গেলেও তাতে ম্যাচের ফলে কোনো বদল হয়নি।