ক্রিকেটারদের ধর্মঘট, বিসিবি এখন কী করবে

দুপুরেই যখন গুঞ্জন ছড়াল খেলোয়াড়েরা দাবিদাওয়া জানাতে আসছেন এবং ধর্মঘট ডাকতে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অস্থিরতা দেখা করা গেল। কী হয়, কী হয়, এমন একটা দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ল।

ধর্মঘট যেন না ডাকেন, সেটি বোঝাতে বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে একেবারে যে যোগাযোগ করেননি, তা নয়। কিন্তু খেলোয়াড়েরা অনড়। বিসিবির নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও দেশের ক্রিকেটের নানা অসংগতিতে ভীষণ অসন্তোষ ক্রিকেটারদের মধ্যে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটই ডেকে বসলেন। তাঁদের ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণে তাঁরা বিরত থাকবেন।

পুরো ব্যাপারটিকে ‘খেলোয়াড় বিদ্রোহ’ বলতে রাজি নন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। ছবি: জাহিদুল করিম
পুরো ব্যাপারটিকে ‘খেলোয়াড় বিদ্রোহ’ বলতে রাজি নন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। ছবি: জাহিদুল করিম

জাতীয় লিগ চলছে। সামনে গুরুত্বপূর্ণ ভারত সফর। বিসিবি এখন কী করবে? বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালকেরা মুখে তালা মেরে বসে আছেন। তাঁরা এখন তাকিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের দিকে। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বিকেলে সাংবাদিকদের জানালেন, তাঁরা চেষ্টা করবেন খুব দ্রুত বিষয়টির সমাধান করতে, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ হয়নি। অবশ্যই খেলোয়াড়েরা আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। পরবর্তী সময়ে বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বিভিন্ন সময়ে তাদের নানা দাবিদাওয়া আসে। আমরা চেষ্টা করি, সেসব পূরণ করতে। আজ আমাদের বিষয়টি নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা বোর্ড সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশে ক্রিকেটারদের ধর্মঘট দেখা গেল। এত বড় ঘটনায় ভীষণ আলোড়ন তৈরি হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী একে অবশ্য ‘খেলোয়াড় বিদ্রোহ’ বলতে রাজি নন। তিনি বলছেন, ‘খেলোয়াড়েরা বোর্ডেরই অংশ। এটা যেকোনো বিষয়-সমস্যা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’

খেলোয়াড়েরা দাবি তুলেছেন ক্রিকেটারদের সংগঠন ‘কোয়াব’-এর বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার। কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল অবশ্য জানালেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত মিটিংয়ে বসবেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন, এ ব্যাপারে কী করা যায়।