হেরে যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল দক্ষিণ আফ্রিকা

থিউনিস ডি ব্রুইনকে আউটের পর উল্লাস ভারতের ক্রিকেটারদের। ছবি: এএফপি
থিউনিস ডি ব্রুইনকে আউটের পর উল্লাস ভারতের ক্রিকেটারদের। ছবি: এএফপি
>রাঁচি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ইনিংস ও ২০২ রানের জয় তুলে নিয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৯৭ রান তুলেছিল স্বাগতিকেরা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৬২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা

হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষেই। ফলো অনে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে তখনো ২০৩ রানে পিছিয়ে ছিল সফরকারী দল। আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর মাত্র দুই ওভার টিকেছে প্রোটিয়াদের ইনিংস। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ করেই ১৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই হারে যেন রীতিমতো ‘মুক্তি’ই মিলেছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে থাকা প্রোটিয়াদের।

এক ইনিংস ও ২০২ রানের এ জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল ভারত। রাঁচি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ও তুলে নিয়েছে স্বাগতিকেরা। আজ দিনের খেলা শুরুর দ্বিতীয় ওভারের শেষ দুই বলে থিউনিস ডি ব্রুইন ও লুঙ্গি এনগিডিকে তুলে নেন অভিষিক্ত স্পিনার শাহবাজ নাদিম। কাল ডিন এলগার মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাঁর ‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন থিউনিস। প্রোটিয়াদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।

টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের এই প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করার স্বাদ পেল ভারত। ঘরের মাঠে এ নিয়ে টানা ১১ সিরিজ জিতল ভারত। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অধিনায়ক কোহলির রেকর্ডও আরও সমৃদ্ধ হলো। ভারতের বাদ-বাকি অধিনায়ক মিলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৯ টেস্টে তুলে নিয়েছেন ৭ জয়। অন্য দিকে অধিনায়ক কোহলি একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১০ টেস্টে তুলে নিলেন সপ্তম জয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি থেকে দলের খেলোয়াড়েরা যত দ্রুত সম্ভব এ সিরিজ ভুলে যেতে চাইবেন। তাদের টেস্ট ইতিহাসে এ সিরিজে সবচেয়ে বাজে পারফর্ম করেছেন ওপেনারেরা। আর টপ অর্ডার চতুর্থ সর্বনিম্ন পারফরম্যান্স করেছে এ সিরিজে। পুনে টেস্টে ফলো অন করে হারের পর এবার রাঁচি টেস্টেও একই পথে হেঁটে হারল সফরকারি দল। দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ টানা দুই টেস্টে ফলো অন করেছে ১৭ বছর আগে—২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।