ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবে বিসিবি, আগেই বলেছিলেন সাবের

বিসিবি প্রধানের সংবাদ সম্মেলনে সমাধানের পথ মেলেনি আজ। ফাইল ছবি
বিসিবি প্রধানের সংবাদ সম্মেলনে সমাধানের পথ মেলেনি আজ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানা সমস্যা নিয়ে অনেক দিন ধরেই সোচ্চার সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সব সমস্যাগুলো কাল সবার নজরে এনেছেন ক্রিকেটাররা। ১১ দফা দাবির কথা জানিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। আজ তাদের দাবির জবাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময় ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ আলোচনায় এনেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। এমন কিছু হবে সেটা আশঙ্কা করেছিলেন সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন। আজ নিজের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হওয়ায় হতাশার কথাও জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সে সময়কার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সাবের হোসেন। যে স্বপ্ন নিয়ে এত দ্রুত টেস্ট মর্যাদা পাওয়া, তা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবকাঠামোগত উন্নতি দীর্ঘ দুই দশকেও হয়নি। এ নিয়ে মাঝে মাঝেই টুইটারে হতাশার কথা জানান সাবেক সভাপতি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সব ধরনের সমস্যার কথা কাল তুলে ধরেছেন তামিম-সাকিবরা।

জাতীয় দল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের এভাবে দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘটে নামার পেছনে বোর্ডের অদক্ষতার দোষ দেখছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। কাল টুইটে বলেছিলেন, ‘বিসিবি সভাপতি, পরিচালকদের আতঙ্কজনক অদক্ষতা, দিকনির্দেশনাবিহীন নেতৃত্ব আর সে সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত, তারই পরিণতি এসব। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, ভারত সফর শঙ্কার মুখে।’ এরপরই ক্রিকেটারদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের দাবির সঙ্গে আমি একমত। এমন কিছু হবে সেটা বহুদিন ধরেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। খেলোয়াড়েরা আরও অনেক কিছুই চাইতে পারত। আশা করি বিসিবি এ দাবির মাঝেও ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবে না।’

বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সাংসদের এমন ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়নি। আজ প্রায় ৫০ মিনিটের লম্বা সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল। বেশ কিছু মন্তব্যই ছিল ক্রিকেটারদের জন্য অপমানদায়ক। এর মাঝে সাবের হোসেন চৌধুরীর দিকেও ইঙ্গিতে কড়া মন্তব্য করেছেন সভাপতি। আর পুরো সংবাদ সম্মেলনেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা বলেছেন, দু-একজন ক্রিকেটার আর বাইরের কিছু শক্তি এতে ভূমিকা রাখছেন। ক্রিকেটারদের অধিকাংশ দাবির গভীরে যাওয়ার চেষ্টা কমই দেখা গেছে। সাবের হোসেন চৌধুরী বোর্ডের এমন আচরণে ব্যথিত, ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই টুইটে আশা করেছিলাম বিসিবি খেলোয়াড়দের দাবির মাঝে ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবে না। কিন্তু জনাব পাপন (সভাপতি) বার্তার অর্থ বোঝার কোনো চেষ্টা না করে বার্তাবাহককে শাস্তি দিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। দুঃখজনক।’