মুফতে এমন গোল ভরসা কজন পায়

আবারও মেসির ওপর ভর করে পার হয়েছে বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি
আবারও মেসির ওপর ভর করে পার হয়েছে বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি

ইউরোপের গোলের দাম অনেক বেড়েছে। গোল করতে পারেন এমন ফুটবলারদের নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলছে।এক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যস্থান পূরণ করতেই হাঁপিয়ে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলবদলে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেও ভাগ্যে খুব একটা পরিবর্তন আনতে পারেনি তারা। ওদিকে কোনো খরচ না করেই দুর্দান্ত এক গোল স্কোরার পেয়ে গেছে বার্সেলোনা।

গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বে স্লাভিয়া প্রাহার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। একটি গোল অবশ্যম্ভাবীভাবেই লিওনেল মেসির এনে দেওয়া। কিন্তু বার্সাকে জয় এনে দিয়েছে ৫৭ মিনিটে পিটার ওলায়িঙ্কা। প্রাহার হয়ে আত্মঘাতী গোল করে বার্সেলোনাকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের পায়ের পরশ বোলানো এমন গোলের দেখা অবশ্য এবারই প্রথম নয় বার্সেলোনার। ভালভার্দেকে নিয়মিতই স্বস্তি এনে দেয় এমন আত্মঘাতী গোল।

আরনেস্তো ভালভার্দে বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৯টি গোল করেছেন মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি গোল এসে প্রতিপক্ষের পা থেকে, অর্থাৎ আত্মঘাতী। আর গোলের জন্য মেসি ছাড়া আর যে দুজনের দিকে তাকানোর কথা বার্সেলোনার, সে দুই ফরোয়ার্ড ওউসমানে ডেমবেলে ও লুইস সুয়ারেজ করেছেন চারটি গোল!

এর মাঝে ডেমবেলে চোটের কারণে অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন। ফিলিপে কুতিনহো ও এর পর আঁতোয়ান গ্রিজমানের উপস্থিতিও মাঠে ডেমবেলের সময় কমিয়ে দিয়েছে। সুয়ারেজের সে অজুহাতও নেই। বার্সেলোনার হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাঁকে দেখা যায়। মাঠে নামার পর নির্ধারিত সময়ের আগে সুয়ারেজকে তুলে নেওয়াও হয় না কখনো। তবু দুই মৌসুমের বেশি সময়েও মাত্র ৪ গোল সুয়ারেজের।

অবশ্য প্রতিপক্ষের মাঠে সুয়ারেজের যা পারফরম্যান্স তাতে এমন কিছু অস্বাভাবিক নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে সুয়ারেজের সর্বশেষ গোলের পর পেরিয়ে গেছে ১ হাজার ৪৯৭ দিন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এএস রোমার বিপক্ষে গোল করেছিলেন। এর পর প্রতিপক্ষের মাঠে ২০ ম্যাচ খেলে কোনো গোল পাননি সুয়ারেজ। কাল পাঁচটি শট নিয়েও গোলের দেখা পাননি। এ নিয়ে ২০ ম্যাচে ৬৪ শট নিয়েও কোনো গোল নেই সুয়ারেজের।

বার্সেলোনা তাই ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতেই পারে। এভাবে আত্মঘাতী গোল সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে দিলে ইউরোপে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জয় পাওয়া যে কঠিন হয়ে যেত!