রোনালদো মানুষ নন 'হায়েনা'

জুভেন্টাসে এসেও নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন রোনালদো। ছবি : এএফপি
জুভেন্টাসে এসেও নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন রোনালদো। ছবি : এএফপি

রোনালদোর অনুশীলন, প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তাগিদ—সবকিছুই অবিশ্বাস্য মনে হয়। এ বয়সে এসেও একটা মানুষ উন্নতির শিখরে থাকতে কীভাবে প্রতিনিয়ত যন্ত্রের মতো খাটতে পারেন, রোনালদোকে না দেখলে বোঝা যাবে না। পরিশ্রম করতে তিনি একদম হেলাফেলা করেন না, আর তার সুফলও পাচ্ছেন হাতেনাতে। বছরের পর বছর তাঁর এই জিগীষা ঈর্ষার কারণ হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের, প্রশংসার পাত্র বানিয়েছে সতীর্থদের কাছে। এবার রোনালদোর ক্লাব জুভেন্টাসের অধিনায়ক জর্জো কিয়েল্লিনিও প্রশংসা করলেন তাঁর সতীর্থের।

রোনালদোর প্রত্যেকটি কাজের পেছনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে, বলেছেন কিয়েল্লিনি। আর এটাই রোনালদোর ভূরি ভূরি গোল পাওয়ার রহস্য, ‘ও যা করে, ভেবেচিন্তে করে। গুরুত্ব দিয়ে করে। হুট করে ইচ্ছে হলো আর করলাম, এমন কোনো কাজ রোনালদো করে না। আর এ কারণেই ও অনেক গোল পায়।’

>

৩৪ বছর বয়সে এসেও প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তা দেখে মুগ্ধ হন সবাই। মুগ্ধতার তালিকায় এবার নাম লিখিয়েছেন রোনালদোর ক্লাব জুভেন্টাসের অধিনায়ক জর্জো কিয়েল্লিনি

যে বয়সে এসে অধিকাংশ খেলোয়াড় অবসর নিয়ে নেন, সে বয়সেও রোনালদো বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। কিয়েল্লিনি মনে করেন এর পেছনে কাজ করছে তাঁর অদম্য স্পৃহা, ‘এই ৩৪ বছর বয়সেও প্রতি মুহূর্তে তাঁর উন্নতি করার ইচ্ছা চোখে পড়ার মতো। ওর নিজেকে উন্নত করার তাগিদ থেকে আমরাও অনেক কিছু শিখি। খেলার মাঠে ও মানুষ না, হায়েনা। মাঠে আমাদের ভূমিকা শুধুই তাঁকে সাহায্য করার। ওর লক্ষ্য আর আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন। সেও জিততে চায় সব সময়, আমরাও তাই চাই।’

২০১৮ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্টাসে নাম লেখান পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ বছরও ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে তৃতীয় হয়েছেন তিনি।