প্রথমার্ধের হতাশা শেষে ৩ গোলে জয় সিটির

দলের আধিপত্য নিশ্চিত করলেন গুন্দোয়ান। ছবি: রয়টার্স
দলের আধিপত্য নিশ্চিত করলেন গুন্দোয়ান। ছবি: রয়টার্স
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। একটি করে গোল করেছেন রহিম স্টার্লিং, কেভিন ডি ব্রুইনা ও ইলকায় গুন্দোয়ান। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এল পেপ গার্দিওলার দল।

প্রথমার্ধ শেষের পর বিরতিটা নিশ্চয়ই উসখুস করে কাটিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা। সমর্থকদেরই-বা দোষ কী, ৪৫ মিনিট জুড়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও গোলের দেখা না পেলে অধৈর্য তো হবেনই। ম্যাচশেষে অবশ্য স্বাগতিক সমর্থকদের মুখে হাসিই এনে দিয়েছেন পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে বারবার অ্যাস্টন ভিলার অর্ধে বল নিয়ে গেছেন স্টার্লিং-সিলভারা। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ফিনিশিং মনমতো না হওয়ায় গোলবঞ্চিতই থাকতে হয়েছে তাঁদের। ২০ মিনিটে হ্যান্ডবলের আবেদন করেছিলেন সিটির খেলোয়াড়েরা, কিন্তু ভিএআর দেখেও পেনাল্টি দেওয়ার কারণ খুঁজে পাননি রেফারি। প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ডেভিড সিলভা। ৪৩ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো দারুণ বলটা খুঁজে নিয়েছিল ফাঁকায় দাঁড়ানো সিলভাকে। পোস্টে বল রাখতে পারলেই নিশ্চিত গোল পেতেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। কিন্তু তিনি বল মেরেছেন বাইরে।

শুরুর একাদশে সার্জিও আগুয়েরো না থাকায় গোল করার দায়িত্বটা নিতে হতো স্টার্লিংকে। সেটা তিনি করেছেনও। চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করা স্টার্লিং বিরতির পরপরই এগিয়ে নেন সিটিকে। এই নিয়ে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে ১৩ গোল হয়ে গেল এই ইংলিশ তারকার। মিনিট বিশেক পরেই দ্বিতীয় গোল পেয়েছে সিটি, এবারের গোলদাতা বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। বেঞ্জামিন মেন্ডির পাসে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোলটি করেন। এই মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত ১১ গোলের সঙ্গে নিজের নাম জুড়েছেন ডি ব্রুইনা (৩ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট)। আর কোনো খেলোয়াড় গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে এত অবদান রাখতে পারেননি।

যেভাবে অ্যাস্টন ভিলাকে আক্রমণের তোড়ে ভাসাচ্ছিল সিটি, আরেকটি গোল তাদের প্রাপ্যই ছিল। সেই গোলটি এসেছে ইলকায় গুন্দোয়ানের পা থেকে। ৭০ মিনিটে একদম কাছ থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন বার্নার্দো সিলভা। সেটি জালে না ঢুকলেও ফিরতি শটে গোল করে গোলদাতাদের তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন জার্মান মিডফিল্ডার। ম্যাচ শেষের ১৫ মিনিট আগে আগুয়েরো নামলেও অবশ্য ব্যবধান বাড়েনি আর। শেষ দিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ফার্নান্দিনহো।

ম্যাচ শেষে অবশ্য নিজের হতাশা লুকাননি গার্দিওলা। প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে বেশ বিরক্তিই ঝরে পড়ল তাঁর কণ্ঠে, ‘আমরা ৯০ মিনিট নয়, ৪৫ মিনিট খেলেছি। বিরতিতে আমরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পাওয়াটা স্বস্তি দিয়েছে।’

এই জয়ে লেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে আবারও পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিটি। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলের চেয়ে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। লিভারপুল অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে। আগামীকাল টটেনহামের বিপক্ষে জিতলেই পয়েন্ট ব্যবধান আবার ৬-এ নিয়ে যাবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।