নেইমারকে ছাড়াই তো চলে পিএসজির

একই ফ্রেমে পিএসজির জয়ের দুই নায়ক, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও মাউরো ইকার্দি। ছবি : এএফপি
একই ফ্রেমে পিএসজির জয়ের দুই নায়ক, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও মাউরো ইকার্দি। ছবি : এএফপি
>গতকাল মার্শেইকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। জোড়ায় জোড়ায় গোল করেছেন দলটার ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি।

চোটের কারণে পিএসজির হয়ে খেলতে পারছেন না ব্রাজিল তারকা নেইমার। ছিলেন না উরুগুয়ের স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানিও। তবে তাতে পিএসজির বিশেষ কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। গতকাল নেইমারকে ছাড়াই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইকে এক হালি গোলের মালা পরিয়েছে তারা।

প্রথম থেকেই মার্শেইয়ের ওপর চড়াও হয় পিএসজি। গোলবন্যার শুরুটা করে দেন দলের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি। ম্যাচের দশ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ইকার্দির স্বদেশি অ্যানহেল ডি মারিয়ার একটা ক্রস আটকিয়েই দিয়েছিলেন মার্শেইয়ের ফরাসি গোলরক্ষক স্টিভ মানদান্দা। কিন্তু তাঁর হাত থেকে বল চলে আসে ইকার্দির পায়ে। গোল করতে ভুল করেননি এই তারকা। ষোলো মিনিট পর ইতালির মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বল ধরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ইন্টার মিলান থেকে ধারে এই মৌসুমে খেলতে এসে বেশ ভালো ফর্মে আছেন এই তারকা। এই মৌসুমে পিএসজির হয়ে সাতটা গোল করে ফেললেন তিনি। ইকার্দির দুরন্ত ফর্ম দেখে মুগ্ধ হয়েছেন পিএসজির কর্তাব্যক্তিরাও। শোনা যাচ্ছে, সামনের মৌসুমেই ইন্টার থেকে পাকাপাকিভাবে ইকার্দিকে দলে নিয়ে আসতে চায় তারা।

৩২ মিনিটে ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান এমবাপ্পে। পরের গোলেও দেখা যায় এমবাপ্পে-ডি মারিয়া যুগলবন্দী। ডি মারিয়ার কাছ থেকে বল নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে দলকে আরও এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি।

দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপ্পে। হয়নি। ওদিকে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার দারিও বেনেদেত্তোর কল্যাণে মার্শেই ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেলেও লাভ হয়নি। ৪-০ গোলের ব্যবধান নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। স্ট্রাইকাররা এমন ফর্মে থাকলে, নেইমারের অভাব কি আর বুকে বিঁধে?

১১ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পিএসজি। তাঁদের থেকে আট পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নঁতে। এই সপ্তাহে মোনাকোর কাছে হেরে গেছে তারা। ফলে পিএসজির সঙ্গে তাঁদের ব্যবধানটা শুধুই বেড়েছে।