পাকিস্তানের কাছে আবারও হার মেয়েদের

বাংলাদেশের ব্যাটাররা আজ নিজেদের সেরাটা দিয়েও পারেননি। ছবি: পিসিবি টুইটার
বাংলাদেশের ব্যাটাররা আজ নিজেদের সেরাটা দিয়েও পারেননি। ছবি: পিসিবি টুইটার

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের হার মানেই ব্যাটারদের ব্যর্থতা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে এক রুমানা ছাড়া আর সবাই ব্যর্থ ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অন্তত সেটা বলার উপায় নেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করেছে নারী ক্রিকেট দল। ১৫২ রান তুলেও অবশ্য লাভ হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫ হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে গেল বাংলাদেশ।

এত দিন টি-টোয়েন্টিতে জাহানারা-সালমাদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৫১। ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল দল। আজ সেটাও পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এর কৃতিত্ব জাহানারা আলমের। ১৯তম ওভারে ব্যাট করতে নেমে জাহানারা ১৮ করেছেন মাত্র ৫ বলে, যাতে ছক্কা ২টি। এর মাঝে শেষটি ছিল ইনিংসের শেষ বলে। কিন্তু এতে ম্যাচের ফলে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৫ রানে হেরেছে সালমারা।

বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ হয়ে যায় মূলত বহু আগেই। ষষ্ঠ ওভারেই আগের দিনের সেরা খেলোয়াড় রুমানা আহমেদ রান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। ১৪তম ওভারে অধিনায়ক সালমা খাতুনও ফিরেছেন শূন্য রানে। বাংলাদেশের রান তখন ৬ উইকেটে ৯৩। অথচ রুমানা আউট হওয়ার পর ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন নিগার সুলতানা (২১) ও সানজিদা ইসলাম (৪৫)। ২১ বলে ২১ করেছেন নিগার। তিনে নেমে ৩২ বলে ৪৫ রান করেছেন সানজিদা, মেরেছেন ৮টি চার।

এরপর ফারজানা হক ১৯ বলে ৩০ রান তুলে চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচে ফেরার। কিন্তু লতা মণ্ডলের ১৮ বলে অপরাজিত ১৭ রানে ব্যবধান কমেছে শুধু। এর আগে পাকিস্তান মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই করেছিল ১৬৭ রান। ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান অধিনায়ক বিসমাহ মারুফের। এ ছাড়া ফিফটি পেয়েছেন ওপেনার জাভেরিয়া খান (৫২)। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে যা একটু ভালো করেছেন জাহানারা। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

পরশু একই ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ।