জিতেও কাঁদলেন ফেদেরার

নিজের আবেগ আটকাতে পারেননি ফেদেরার। ছবি: রজার ফেদেরারের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।
নিজের আবেগ আটকাতে পারেননি ফেদেরার। ছবি: রজার ফেদেরারের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।
>নিজের শহরের টুর্নামেন্ট, রজার ফেদেরারের দাপট তো থাকবেই। দশমবারের মতো মতো বাসেল ওপেন জিতে আবেগে ভেসে গেলেন এই টেনিস মহাতারকা।

২৬ বছর আগে এখানেই বল বয় হিসেবে কাজ করতেন রজার ফেদেরার। বরিস বেকার আর জন ম্যাকেনরোদের জিততে দেখে তাঁরও বড় সাধ হতো নিজের শহরে ট্রফি জিতে উল্লাস করতে। একে একে সেই বাসেল ওপেনে দশমবারের মতো ট্রফি নিয়ে উল্লাস করলেন ফেদেরার। অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স দে মিনোরকে সরাসরি ৬-২ ৬-২ সেটে হারিয়ে আবেগে কেঁদেই ফেলেছেন তিনি!

বাসেল ওপেন কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট নয়। তাও নিজের শহরের টুর্নামেন্ট বলে ফেদেরারের মনে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে একটা আলাদা টান আছে। সেটাই বোঝা গেছে ম্যাচ শেষে। দুহাত আকাশে তুলে উদ্‌যাপন করেছেন, সাক্ষাৎকার দিতে এসে হয়ে পড়েছেন আবেগমথিত। নিজের শহরে এক ট্রফি এত বার জিতবেন, নিজেও এটা ভাবেননি, ‘আমি আসলে কখনো ভাবতেও পারিনি বাসেল ওপেনে দশ বার চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। নিজের শহরে, পরিচিত পরিবেশে খেলতে পারার মধ্যে একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। একটা অন্যরকম তৃপ্তি কাজ করে। আশা করি, সামনের বছরেও খেলব এখানে।’ কথাগুলো বলতে বলতে আবেগে গলা আটকে আসছিল ফেদেরারের, চোখ ভিজে যাচ্ছিল।

এই ট্রফি জেতার মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ১০৩ তম ট্রফি জিতলেন। বাসেল ওপেনে টানা চব্বিশ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়লেন। অন্য কোনো প্রতিযোগিতায় এত বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হননি ফেদেরার। টেনিসে একটি টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ট্রফি জয়ের ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদাল এবং নারী কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। ১২বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন নাদাল। ওদিকে ১২ বার শিকাগো ওপেন জিতেছেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। নাদাল মন্টে কার্লো ওপেন এবং বার্সেলোনা ওপেনও জিতেছেন ১১ বার করে। ১১ বার ইস্টবোর্ন ওপেনের ট্রফি নিয়ে উল্লাস করেছেন নাভ্রাতিলোভাও। এদের পরেই আছেন ফেদেরার। হলো ওপেনের পর বাসেল ওপেনও দশবার জিতলেন তিনি।

বয়স হয়ে গেলেও, এখনো টেনিস খেলার জন্য আগের সেই টান খুঁজে পান ফেদেরার, ‘আমি সব সময় টেনিস উপভোগ করেছি। সেই মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি কোনো। আজকের ফাইনালটা বেশ দ্রুতগতির ছিল। আমার কাছে এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা।’ প্রতিপক্ষ দে মিনোরকেও সম্মান দেখিয়েছেন ফেদেরার, ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে দে মিনোর বেশ আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথম সেটের পঞ্চম গেম পর্যন্ত ও সমানে-সমান লড়াই করেছে। কয়েকটা র‌্যালি তো বেশ আকর্ষণীয় ছিল। তবে আমার নিজের প্রতি পূর্ণ আস্থা ছিল। ফলে ম্যাচটার গতি সঙ্গে তাল মেলাতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’