সাকিবের ওপর রাগই হয়েছে বিসিবি সভাপতির

সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বিসিবির জন্য বড় ধাক্কা। ছবি: শামসুল হক
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বিসিবির জন্য বড় ধাক্কা। ছবি: শামসুল হক

একটা ঘটনা এত দিন ধরে ঘটেছে, সাকিব আল হাসান কিছুই অবগত করেননি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (এসিইউ)। অথচ তিনি যখন তরুণ ছিলেন, তখন জুয়াড়ির প্রস্তাব দ্রুতই এসিইউকে জানিয়েছেন। এবার না জানিয়ে কেন এই ভুলটা করেছেন, সাকিবের ওপর রাগই হচ্ছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের। তবে তিনি জানিয়েছেন সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসি যে তদন্ত চালাচ্ছে, এটি তিনি জানতেনই না।

সাকিবের মতো পরিণত, অভিজ্ঞ, বুদ্ধিদীপ্ত একজন ক্রিকেটারকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে দিনের পর দিন। তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু নিয়ম মেনে কেন জানাননি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে? আজ যখন বাঁহাতি অলরাউন্ডের শাস্তির খবরটা পেলেন নাজমুল, তাঁর রাগই হয়েছে সাকিবের ওপর, ‘সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সফরে যাচ্ছি ভারতে। সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে আমাদের। এই সফর নিয়ে যত পরিকল্পনা সব সাকিবকে ঘিরেই করা হয়েছিল। ওকে অধিনায়ক করার এটাই কারণ ছিল, সে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। আমাদের জন্য ভীষণ ধাক্কার খবর এটি। আমার রাগও হয়েছে। কেন সে জানায়নি। রাগ তো হবেই। যদিও কখনো সেটা প্রকাশ করিনি। এখন ওকে দেখার পর বলছি।’

সাকিবের এই শাস্তি পাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভীষণ ধাক্কার বলছেন নাজমুল, ‘এর চেয়ে ধাক্কার কিছু হতে পারে, জানা নেই। আমি বহুবার বলেছি, দুটো খেলোয়াড়ের বিকল্প আমাদের নেই। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি, খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব। সব খেলোয়াড়ের বিকল্প পেলে সাকিবের বিকল্প কখনো পাব কি না জানা নেই। ওর খেলতে না পারাটা হচ্ছে আমাদের কাছে সবচেয়ে ধাক্কার।’

নাজমুল জানালেন, ব্যাপারটা তাঁদের জানাই ছিল না। সাকিবই নাকি ক্রিকেটারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরের দিন বিসিবি সভাপতিকে প্রথম জানিয়েছেন। শাস্তি যখন হয়েই গেছে, নাজমুল আহ্বান জানিয়েছেন সাকিবের পাশে থাকার, ‘ওর পাশে থাকা উচিত সবার। ওর খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। এটাই বলতে চাই, ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। দুর্নীতি দমন ইউনিটকে যে সহযোগিতা করার আশ্বাস সে দিয়েছে, আমরা ওর পাশে থাকব। যখন যে ধরনের সমর্থন দরকার, বিসিবি ওর পাশে থাকবে। আশা করি, সে শিগগির ক্রিকেটে ফিরে আসবে।’