চট্টগ্রামের অনুপ্রেরণা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

আজও উৎসব করতে চায় চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আজও উৎসব করতে চায় চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>আজ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীর মুখোমুখি হবে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসি। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের জন্য আরামবাগ থেকে কোচ মারুফুল হককে ধারে নিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। দেশের অন্যতম সেরা এই কোচই এখন দাঁড়িয়ে আছেন শিরোপার হাত ছোঁয়া দূরত্বে। প্রায় পাঁচ বছর আগে শেখ জামাল ধানমন্ডির কোচ হিসেবে ভুটানে জিতেছিলেন কিংস কাপের শিরোপা। এবার দেশের মাটিতে তাঁর সামনে আরও একটি আন্তর্জাতিক শিরোপার হাতছানি। মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসির বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামার আগে শিষ্যদের তাতাচ্ছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সের গল্প শুনিয়ে।

দলটি তৈরি করার জন্য খুব বেশি সময় পাননি মারুফুল। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং থেকে। এমন জোড়াতালি দেওয়া দলটিই টুর্নামেন্টের ফাইনালে। এর পেছনে কাজ করছে উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুলের ‘পেপটক।’ দলকে মানসিকভাবে তৈরি করেছেন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। আর মারুফুলের সেই দাওয়াই জিদানদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্সের সুবাদে পাওয়া, ‘খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের গল্প শুনিয়েছি। ৯৪-এর বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। সে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরের দিনই ফ্রান্স টিম মিটিংয়ে বিশ্বকাপের একটা রেপ্লিকা এনে রাখে। খেলোয়াড়দের বলে দেওয়া হলো এই শিরোপাটা তোমাদের। নিজেদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভাবার শুরু কর এখন থেকেই। এই বিশ্বাস খেলোয়াড়দের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারার কারণেই কিন্তু ওরা ৯৮-সালে সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন হলো।’

মারুফুল যেন সেই ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন কোচ আইমে জ্যাক। জামাল ভূঁইয়া, দিদিয়ের, লুকারাই তাঁর কাছে দেশেম, জিদান আর অরির মতোই। ইয়াসিন, মানিকের মতো তরুণেরাও ভরসা দিচ্ছেন মারুফুলকে। তবে শক্তির বিচারে ফাইনালে কিছুটা পিছিয়ে আছে মারুফুলের দল। একটি জায়গায় স্পষ্ট এগিয়ে তেরেঙ্গানু—লি টাকের মতো ম্যাচের মোড় ঘোরানো ফুটবলার দলটির প্রাণ। ২০ জন ফুটবলার নিয়ে আসা দলটিতে ব্রুনো জুনিচির মতো ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত ফরোয়ার্ড আছেন, যিনি প্রথম ম্যাচেই পেয়েছেন চার-চারটি গোল। তবে অধিনায়ক ও ঢাকা আবাহনীতে খেলে যাওয়া ইংলিশ প্লেমেকার লি টাক একাই এক শ।