নেইমারের জন্য যা করতে চেয়েছিলেন মেসি-পিকেরা

নেইমারকে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মেসিরা। ছবি: রয়টার্স
নেইমারকে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মেসিরা। ছবি: রয়টার্স

এ মৌসুমে নেইমার জুনিয়রকে দলে টানতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল বার্সেলোনা। পিএসজির সঙ্গে বারবার দর-কষাকষিতেও একমত হতে পারেনি তারা। ফলে অন্তত আরেকটি মৌসুম প্যারিসে থাকতে হচ্ছে বার্সেলোনার এক সময়কার তারকাকে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল কিনা এ নিয়ে সন্দেহ আছে লিওনেল মেসি ও জেরার্ড পিকেদের মনে। তবে খেলোয়াড়েরা যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন এ নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। সেটা থাকলেও দূর করে দিয়েছেন পিকে।

স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সারের সঙ্গে কথা বলেছেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। সেখানেই বিস্তারিত জানিয়েছেন কীভাবে নেইমারকে আনার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। এ মৌসুমেই ১২০ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনায় এসেছেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। এতে বার্সেলোনার ফান্ডে টান পড়েছিল। তা ছাড়া গ্রিজমানের কারণে দলের বেতন বাবদ খরচও বেড়ে গিয়েছে অনেক। এ অবস্থায় বার্সেলোনা যেন নেইমারকে আনতে পারে সে চেষ্টা করেছেন পিকেরা।

এল লারগুয়েরো অনুষ্ঠানে এসে পিকে বলেছেন, ‘আমরা টাকা জোগাড় করেছি এমন না। আমরা ক্লাবের সভাপতিকে বলেছিলাম আমরা আমাদের চুক্তিতে একটু বদল আনতে পারি কিনা। কারণ আমরা জানতাম ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের ব্যাপারটা আছে। আমরা তাই সভাপতিকে বলেছিলাম, দরকার হলে প্রথম বছরের বদলে আমাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে আয় বাড়ানো হোক।’

এমন প্রস্তাব নতুন কিছু নয়। এর আগে বার্সেলোনার আর্থিক দুর্দশা দেখে ২০১৫ সালের দিকে প্রথম দুই বছরে বেতন কম নিয়েছিলেন মেসি। সেটি তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে বার্সেলোনা ফিরিয়ে দিয়েছিল। এবারও এমন কিছুই করতে চেয়েছিল বার্সেলোনার মূল খেলোয়াড়েরা। কিন্তু এত ভালো প্রস্তাবেও কাজ হয়নি, ‘ক্লাব যা বলেছে আমরা সেটাই মেনে নিয়েছি। ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের সমস্যা এড়াতে আমরা সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না। আমাদের বেতন না কমিয়েই একটা উপায় বের করতে চেয়েছিলাম, যাতে তারা নেইমার কে দলে আনতে পারে। ক্লাবও খুব ভালোভাবে নিয়েছিল এ উদ্যোগ। কিন্তু অন্যান্য সমস্যা ওকে আসতে দেয়নি।’

এ মৌসুমে না পারলেও এখনো নেইমারকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়ার আশা ছাড়ছেন না পিকে, ‘ফুটবলে অনেক কিছুই হতে পারে। আর সেটা দিন দিন আরও পরিষ্কার হচ্ছে। আমরা তখনই নেইমারকে বলেছিলাম, “সোনার কয়েদখানায় যাচ্ছ।” কিন্তু ফুটবলে যে কোনো কিছু হতে পারে এবং দরজা খুলতে পারে।’