আবারও চট্টগ্রামের শিরোপা নিয়ে গেল অতিথিরা

দুর্দান্ত প্রথমার্ধ শিরোপা এনে দিল তেরেঙ্গানুকে। ছবি: প্রথম আলো
দুর্দান্ত প্রথমার্ধ শিরোপা এনে দিল তেরেঙ্গানুকে। ছবি: প্রথম আলো
>শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে মালয়েশিয়ার ক্লাবের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে গোল হজম করে জ্বলে ওঠাটা চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ শিরোপার লড়াইয়েও প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করে দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠে চট্টগ্রামের ক্লাবটি। কিন্তু এতে ব্যবধান কমিয়ে রোমাঞ্চ ছড়াতে পেরেছে মাত্র। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ক্লাব তেরেঙ্গানু এফসির বিপক্ষে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়ে নিজেদের টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্বাগতিকদের।

খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে না পারার আফসোস পোড়াচ্ছে আবাহনীকে। আর তেরেঙ্গানু দলটি তাদের দেশে সুপার লিগের সপ্তম হলেও বাংলাদেশে এসে গড়ে ফেলেছে ইতিহাস। ক্লাবের ৬৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আসরে এসেই উঠে গেছে ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বগলদাবা করেই মালয়েশিয়া ফিরছে তারা।

প্রথম ২০ মিনিটেই তারা ২ গোল করে ফাইনালটা বের করে নিয়েছে স্বাগতিক দলের হাত থেকে। বাকি ৪৫ মিনিটে একটি গোল খেলেও ম্যাচের লাগাম হাত থেকে ফসকে যেতে দেয়নি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নপূরণে শুরু থেকেই আক্রমণে উঠছিল স্বাগতিকেরা। সুযোগও তৈরি করতে পেরেছে। মন্টেনেগ্রোর স্ট্রাইকার রতকোভিচ লুকার শট যায় গোলরক্ষকের হাতে। এমএ আজিজের গ্যালারি স্তব্ধ করে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় তেরেঙ্গানু। লি টাকের কর্নারে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডারদের ভিড়ে তুলনামূলক ছোটখাটো গড়নের ডিফেন্ডার হাকিম বিন মামাত হেডে বল পাঠান জালে।

গোল শোধের বদলে চট্টগ্রাম আবাহনী আরেকটি গোল খেয়ে বসে ৭ মিনিট পর। মাঝমাঠের একটু সামনে বাঁ থেকে লি টাক বলটা ঠেলেন আজালিনুল্লাহর কাছে। চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। গোলরক্ষক নেহাল কোনাকুনি জায়গাটা আটকে দিতে চেয়েছিলেন। এই সময় উজবেক ডিফেন্ডার ইকবাল জনকে বোকা বানান আজালিনুল্লাহ। এরপর বাঁ পায়ে শটে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল পাঠান জালে (২-০)!

প্রথম ৪৫ মিনিট চেনাই যায়নি চট্টগ্রাম আবাহনীকে। সব নিয়ন্ত্রণ করছিলেন লি টাক। অন্য দিকে মাথা গরম করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। হলুদ কার্ডও দেখেছেন অহেতুক নেপালি রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে। তারপরও আশা ছিল। কারণ, সেমিফাইনালেও পিছিয়ে পড়ে বিরতির পর প্রথম মিনিটেই ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম আবাহনী। আজও একই ছবি। বিরতির তৃতীয় মিনিটেই ম্যাথিউর কাছ থেকে বল পেয়ে যান লুকা। বক্সের ভেতর থেকে দারুণ শটে করেন ২-১। বেলারুশ লিগে খেলা ৩১ বছর বয়সী লুকা কিছুটা প্রাণ ফেরান গ্যালারিতে।

এই গোল করে আবার ম্যাচে ফেরার পথটা দেখতে পাচ্ছিল স্বাগতিক দল। কিন্তু ৫৪ মিনিটে চোট পেয়ে বেরিয়ে আসতে হলো সেমিফাইনালে দুই গোল করা দিদিয়েরকে। মাঝমাঠে নামেন সোহেল রানা। আরিফুলের জায়গায় রাব্বি এবং রহমতের জায়গায় রকি এলেন এরপর। কিন্তু আবাহনী আর আঁচড় কাটতে পারেনি তেরেঙ্গানুর রক্ষণে।