চট্টগ্রামে সেরা হয়ে কষ্ট বাড়ালেন ইংলিশ লি টাক

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন লি টাক। ছবি: প্রথম আলো
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন লি টাক। ছবি: প্রথম আলো

শেখ কামাল ক্লাব কাপে সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে সবার আগে ছিলেন মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসির লি টাক। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। আজ ইংলিশ এই ফরোয়ার্ডের হাতেই উঠেছে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পুরস্কার। এতে যেন দেশের ফুটবল প্রেমীদের কষ্টটা গেল আরও বেড়ে। ইস, ৩ বছর আগে আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে খেলে যাওয়া এই ফরোয়ার্ড যদি বাংলাদেশের ক্লাবের হয়ে এখনো খেলতেন!

টুর্নামেন্টের মোট ৬ গোল এসেছে দুটি হ্যাটট্রিকে। ফ্রি-কিকে দুটি গোল, তিনটি পেনাল্টিতে। একটি গোল প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে কোনাকুনি শটে। চট্টগ্রামের এই চেনা মাঠে ঢাকা আবাহনীর হয়ে তার হ্যাটট্রিক ছিল ২০১৬ সালে। চেনা মাঠে আবার এসে মুগ্ধ করে দিয়েছেন সবাইকে। চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক তো এমনিই ম্যাচের আগে বলেননি, ‘লির আরও বড় স্তরে ফুটবল খেলা উচিত। ওর সেটপিস নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করছি। অবশ্যই ওকে আটকানোর সব চেষ্টাই থাকবে।’

আজকের ফাইনালে লি টাক গোল করেননি। তবে ম্যাচের নাটাইটা ছিল তাঁর হাতেই। এই চট্টগ্রামেই আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে ২০১৬ সালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। মাঠটা যে তাঁর হাতের তালুর মতোই চেনা। প্রায় ৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরে তাই যেন প্রমাণ করলেন লি। অনেকের মতেই, গত ১০ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশে আসা অন্যতম সেরা বিদেশি লি টাক

আবাহনীতে তাঁর বেশি দিন খেলা হয়নি। মাত্র ১০ মাস। এই সময়েই প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপ জিততে বড় অবদান রেখেছেন। গোটা দশেক গোল করেছেন। তবে গোল তৈরি করাই মূলত তাঁর কাজ। আবাহনী ছেড়ে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার ক্লাব নেগেরি সেমবিলানের হয়ে একই ভূমিকায় ছিলেন। দল বদলে এখন খেলছেন মালয়েশিয়ান সুপার লিগের সপ্তম দল তেরেঙ্গানু এএফসিতে। গত মৌসুমে তেরেঙ্গানুর হয়ে আট-দশটি গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ১৫ থেকে ১৬ টি।

শেখ কামাল টুর্নামেন্টেও সেই পুরোনো চেহারায়। মন খুলে খেলে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন। পুরো মাঠ দাপিয়ে খেলেন। এটাই তাঁর বড় বৈশিষ্ট্য। লি টাক এমনই একজন ফুটবলার যে তিনি চলে যাওয়ার পরও তাঁর স্মৃতিটা রয়ে গিয়েছিল আবাহনীতে। নিজের খেলার ছন্দটা বাংলাদেশের ফুটবল দর্শকদের মনে গেঁথে দিয়ে যান।