পাকিস্তানেও হতে যাচ্ছিল খেলোয়াড় বিদ্রোহ

একটুর জন্য সিরিজ অনিশ্চিত হতে বসেছিল পাকিস্তানের। ছবি: পিসিবি টুইটার
একটুর জন্য সিরিজ অনিশ্চিত হতে বসেছিল পাকিস্তানের। ছবি: পিসিবি টুইটার

আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বড় এক পরীক্ষায় নামবে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নামবে পাকিস্তান। কাল বিশ্বের অন্য প্রান্তে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের মাঠে কঠিন পরীক্ষা বাংলাদেশের। সিরিজের আগের সপ্তাহেও মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বেশ। ভারত সিরিজের আগেই ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। এখন জানা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে বিদ্রোহের ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও!

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে গত সপ্তাহে ইমাদ ওয়াসিম, শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ আমির প্রায় ধর্মঘট ডেকেই বসেছিলেন। পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান আপাতত কিছুদিনের জন্য বিদ্রোহ দমন করেছেন। বিদেশি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলার ব্যাপারে পিসিবির কড়াকড়ি নিয়মের ওপর ত্যক্ত বিরক্ত ক্রিকেটাররা আপাতত অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছেন।

আবুধাবিতে টি-টেন লিগে পাকিস্তানের ১৫ জন খেলোয়াড় ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু পিসিবির অনাপত্তি না জোটায় মাত্র দুজন ক্রিকেটার যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। টুর্নামেন্টের মালিকানার সঙ্গে ভারতের কয়েকজন জড়িত থাকায় (যদিও সিংহভাগ মালিকানা পাকিস্তানের) প্রধানমন্ত্রী ইমরান নিজে পিসিবিকে এ ব্যাপারে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। এরপরই বর্তমান খেলোয়াড়দের অনাপত্তি দেওয়ার ব্যাপারে পিসিবি অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। এর আগেও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৯ জন খেলোয়াড় ডাক পেলেও মাত্র তিনজন যেতে পেরেছিলেন। কারণ খেলোয়াড়দের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার ব্যাপারে পিসিবি অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘পিএসএল+অন্য একটি লিগ’ মেনে চলছে।

এ নিয়ে রাগান্বিত ক্রিকেটাররা ওয়াসিম খানের সঙ্গে জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপ ফাইনালের দিন দেখা করেছেন। এর ফলে অনাপত্তি পত্রের ব্যাপারে বোর্ড নতুন করে ভাবার চিন্তার কথা বলেছে। কিন্তু টি টেন লিগে ভারতীয় মালিকানা যত দিন থাকবে , তত দিন পাকিস্তানের বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সংঘাত হয়, এমন কিছু করতে রাজি নয় পিসিবি।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘যখন আমরা এনওসি চেয়েছিলাম, তখন আমাদের কোনো কোচ বা নির্বাচকও ছিল না। পুরাটাই খুব বাজে। কাউকে চার ম্যাচের জন্য অনাপত্তি দেওয়া হয়েছ, কাউকে দেওয়াই হয়নি। কয়েকজনকে পুরো সময়ের জন্য দিয়েছে। আমরা আর্থিক ক্ষতি কীভাবে কাটাব? ঘরোয়া মৌসুম পুরাটা খেলেও এসব লিগের সমান আয় করা সম্ভব না। আমাদের ভারতের উদাহরণ দেওয়া হয়, বলা হয় ভারতও ক্রিকেটারদের এনওসি দেয় না। কিন্তু ভারতের ক্রিকেটাররা আইপিএলে কোটি কোটি আয় করে। তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অর্থও যথেষ্ট, ওদের অন্য লিগ খেলার দরকার হয় না। আমরা বুঝি পিসিবি এত অর্থ দিতে পারবে না। অন্তত পুরো ব্যাপারটা খোলাখুলি বলা হোক।’