মাস্ক নয়, ম্যাচে মনোযোগ বাংলাদেশের

এভাবেই চলছে বাংলাদেশের দিল্লি পর্ব। ছবি: এএফপি
এভাবেই চলছে বাংলাদেশের দিল্লি পর্ব। ছবি: এএফপি

দিল্লির দূষণ নিয়ে বছরের এ সময়টায় প্রতিবারই কথা হয়। ক্রিকেট দল সফরে যাওয়ায় এ নিয়ে মাথা ব্যথা এখন বাংলাদেশেরও। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)অনুযায়ী বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি দূষিত বাতাস দিল্লিতে। একিউআইসিএন অর্গ নামের এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে আজ সন্ধ্যা সাতটায় দিল্লির শ্রীনিবাসপুরীর একিউআই ছিল ৬৬১। আর কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টের একিউআই ছিল ৭৪৫ আর নাজাফগর জেলায় ৯৮৮!

এটা কত ভয়াবহ সেটা বোঝাতে কিছু তথ্য দেওয়া যাক। একিউআই ০-৫০ মানে ‘ভালো’, ৫১-১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১-২০০ ‘মাঝামাঝি’, ২০১-৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১-৪০০ ‘বেশি খারাপ’, ৪০১-৫০০ ‘ভয়াবহ’, আর ৫০০-এর বেশি মানে ‘ভয়াবহ, পাশাপাশি জরুরি অবস্থা।’ দূষণের এ তালিকার দুইয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর। কাল সন্ধ্যায় লাহোরের একিউআই ছিল ১৮৭। এমন অবস্থায় তাই মনোযোগ স্বাভাবিক ভাবেই মাঠে দেওয়া কঠিন। ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন টুইট করেছেন, ‘দিল্লির আবহাওয়ার মান খুবই ভয়াবহ। অক্সিজেন পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা। একটা সংকটাপন্ন অবস্থা চলছে।’

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে তবু কঠিন কাজটাই করতে হচ্ছে। দূষণের কথা ভুলে মনোযোগ মাঠে দিতে হচ্ছে। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেছে, ‘এ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা এর আগেই বলেছি। এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা বরং আগামীকালের ম্যাচ এবং সে ম্যাচ কীভাবে জেতা যায় তাতে মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা এখানে আগে খেলিনি। সবাই জানি, যখন প্রথম এলাম তখন ধোঁয়াশা (ধোঁয়া+কুয়াশা) ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়েরা গত তিন দিন এখানে অনুশীলন করেছে, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের যেহেতু এর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, খেলাতেই মন দিচ্ছি।’

সিরিজের আগেই বিপাকে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। মূল দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান নেই এ সিরিজে। সাকিবের অনুপস্থিতে হঠাৎ করে দায়িত্ব এসে পড়েছে মাহমুদউল্লাহর ঘাড়ে। তবে একে চাপ হিসেবে দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ, ‘আমি একে চাপ হিসেবে মানছি না। দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার কাছে বড় সুযোগ। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে এর আগে বেশ কয়েকবার এটা করেছি, যখন সাকিব ছিল না। আমরা দল হিসেবে খেলব। আমাদের সব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে এবং আমাদের ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করতে হবে।’

এর আগে বারবার সুযোগ পেয়েও ভারতকে টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার আর আগের ভুল করতে চান না মাহমুদউল্লাহ, ‘এর আগে কয়েকটি ম্যাচে আমরা জয়ের খুব কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষটা সুন্দর করতে পারিনি। আশা করছি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারব। অতীতের কথা না ভেবে আমরা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর দিকেই মনোযোগ দেব।’