সাকিব-তামিমের জন্য এ জয়: সৌম্য

দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। জয়ের পরও দারুণ এক কাজ করেছেন সৌম্য। ছবি: এএফপি
দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। জয়ের পরও দারুণ এক কাজ করেছেন সৌম্য। ছবি: এএফপি

গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর চেহারাই বলে দিচ্ছিল কতটা হতাশ হয়েছেন তাতে। কিন্তু কাজের কাজটা আগেই করেছেন সৌম্য সরকার। প্রথমে অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে শুরুর ধাক্কা সামলেছেন। এরপর মুশফিকের সঙ্গে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়া জুটি গড়েছেন। জয়ের নায়ক যদি মুশফিক হন, সে ক্ষেত্রে পার্শ্বনায়ক অবশ্যই সৌম্য। সে জয়টা সৌম্য তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।

ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ। প্রথম ৮ ম্যাচের আটটিতেই হার। শেষ বলের সমীকরণ মেটানো হয়নি দুইবার। ওদিকে ভারতের মাটিতে কোনো সংস্করণেই কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। এমন এক পরিস্থিতিতে ভারতে সিরিজ খেলতে গিয়েছে ভগ্ন হৃদয় নিয়ে। পারিবারিক কারণে তামিম ইকবাল যোগ নেই এ সফরে। আর আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় ছিটকে গেছেন অধিনায়ক সাকিব।

আজ তবু উজ্জীবিত এক বাংলাদেশের দেখা মিলেছে। দূষণের শঙ্কা শেষে ম্যাচ শুরু হতেই ভারতকে চেপে ধরেছে বোলাররা। প্রথমে যে উইকেটে রান উৎসব হবে বলে ভাবা হয়েছিল, সে উইকেটেই ভারতকে ১৪৮ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুতে লিটনের বিদায়ে ধাক্কা লেগেছিল। এমন অবস্থাতে নেমেই দলকে রান তাড়ার করার কঠিন কাজ থেকে বিচ্যুত হতে দেননি। ৪৬ ও ৬০ রানের দুটি জুটি গড়েছেন। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেছেন। মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু সৌম্য জানালেন তারা জানতেন শেষ দিকে ম্যাচ বের করা যাবে, ‘আমরা সবাই শান্ত ছিলাম। জানতাম ধৈর্য ধরলে এটা সম্ভব।’

সাকিব ও তামিমকে ছাড়া খেলতে এসেও ভারতকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন জয়ের পর তাই দলের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্যকে মনে করলেন সৌম্য, ‘তামিম ও সাকিব আমাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। অবশ্যই তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দলে। এ জয় তাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।’