স্মিথের সঙ্গে পেরে উঠল না পাকিস্তান

প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি বাঁচিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। নিশ্চিত হারের মুখে বৃষ্টি ও লম্বা বিরতির সুবাদে বেঁচে গিয়েছিল সফরকারীরা। আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সে সৌভাগ্য হয়নি। স্টিভ স্মিথের দুর্দান্ত এক ইনিংস অনায়াস জয় এনে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ১৫০ তাড়া করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিক দল।

টেস্ট ও ওয়ানডেতে স্টিভ স্মিথই অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সেটা বলার জো নেই। নামের পাশে থাকা গড় বা স্ট্রাইকরেট কোনোটাই তাঁর নামের সঙ্গে ঠিক যায় না। ফলে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দল গোছানোর সময়ে স্মিথকে ছাড়াই চিন্তাভাবনা শুরু করা দরকার, এমন একটা আলোচনা চলছিল। সে আলোচনা এক ইনিংসেই উড়িয়ে দিয়েছেন স্মিথ। দুর্দান্ত স্ট্রোক প্লে আর ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫১ বলে খেলেছেন ৮০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। তাতে ১১ চার ও ১ ছক্কা। দেড় শর ওপর স্ট্রাইকরেট কিন্তু ইনিংসের কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি বাড়তি ঝুঁকি নিচ্ছেন। রান কিন্তু আসছিল।

এতটাই নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনে খেলেছেন স্মিথ যে মনেই হয়নি টি-টোয়েন্টি খেলছেন। বরং শটগুলো যেকোনো টেস্ট ইনিংসের হাইলাইটস বলেও চালিয়ে দেওয়া যাবে। পাকিস্তানি বোলারদের আত্মবিশ্বাস এতেই গুঁড়িয়ে গেছে। এ কারণেই ৪৮ রানেই দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের বিদায়েও লক্ষ্যচ্যুত হয়নি অস্ট্রেলিয়া। বেন ম্যাকডরমট (২২ বলে ২১) ও অ্যাস্টন টার্নার (১৫ বলে ৮) টি-টোয়েন্টি অনুপযুক্ত দুটি ইনিংস খেলেও পাকিস্তানের জয়ের আশা একটুকুর জন্যও বাড়াতে পারেননি। ১৫১ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১২ ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়া শেষ দিকে বেশ সময় নিয়েই ম্যাচ শেষ করেছে।

এর আগে পাকিস্তান যে আজ দেড় শ তুলতে পেরেছে, এর পুরো কৃতিত্ব ইফতেখার আহমেদের। ক্যারিয়ারের আগের ৪ ইনিংসে ৪৩ রান তোলা এই ব্যাটসম্যান আজ ৩৪ বলে ৬২ রান তুলেছেন। তাঁর কারণেই শেষ ৪ ওভারে ৪৪ রান তুলেছে পাকিস্তান। তাঁর আগে পাকিস্তান ইনিংসকে ধস থেকে বাঁচিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে ৩৮ বলে ঠিক ৫০ রান করে রান আউট হয়েছেন বাবর। টপ অর্ডারের ব্যর্থতাতেই মাত্র ৬ উইকেট হারিয়েও দেড় শর বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ান কেন রিচার্ডসন ৪ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়েছেন।