ক্যাসিনো-কাণ্ডে বিপর্যস্ত আরামবাগ

আগামী মৌসুমে দল গঠন করতে পারছে না আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফাইল ছবি
আগামী মৌসুমে দল গঠন করতে পারছে না আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফাইল ছবি
>আসন্ন ফুটবল মৌসুমে দল গঠন না করার ইঙ্গিত দিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। চলতি মাসের ২০ তারিখে শেষ হবে দলবদল। ক্লাবটি এখন পর্যন্ত কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে শোনা যাচ্ছে।

ঢাকার ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের প্রভাব ভালোই পড়েছে ফুটবলের দলবদলে। নতুন মৌসুমে শক্তিশালী দল গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। কিন্তু ক্যাসিনো অভিযানের জেরে এখন তারা দলই গঠন করতে পারছে না। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বরাবর দলবদলের সময় সীমা বাড়ানোর আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ ছাড়া নতুন মৌসুমে আরামবাগে যাঁদের খেলার কথা ছিল, ইতিমধ্যে সেই খেলোয়াড়দের অধিকাংশ নাম লিখিয়েছেন অন্য দলে।

অথচ ২০১৮ সালের স্বাধীনতা কাপজয়ী আরামবাগ আসন্ন মৌসুমে সবাইকে চমকে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল। দলের প্রয়োজনীয় পুরোনো খেলোয়াড়দের ধরে রেখে অন্য ক্লাবের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে রেখেছিল তারা। কিন্তু ক্যাসিনো অভিযানের পর থেকে দেশছাড়া ক্লাবের সভাপতি মমিনুল হক সাঈদ। তিনিই মূলত ক্লাবের প্রধান অর্থ সরবরাহকারী। তাঁর অনুপস্থিতিতে সম্ভব হচ্ছে না দল গঠন। আর লিগে অংশগ্রহণ না করলে নিয়ম অনুযায়ী পরের মৌসুমে অবনমিত হবে আরামবাগ। বিষয়টি নিয়ে বাফুফের সঙ্গে আলাপ করেছেন ক্লাবের সহসভাপতি এজাজ জাহাঙ্গীর, ‘কোনো ভাবে একটা দল গঠন করার চেষ্টা আছে। তা না পারলে বাফুফে কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেছি, আরামবাগকে শীর্ষ লিগে রেখে দেওয়ার বিষয়টি যেন তারা বিবেচনায় রাখে।’

এর আগে আরামবাগের কোচ মারুফুল হক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা তো একটা দল করেই রেখেছিলাম। ১০ ভাগ করে টাকাও দেওয়া হয়েছে গত ঈদের আগে। চুক্তি অনুযায়ী দলবদলের আগে ৫০ ভাগ টাকা দিতে হবে। এখন বাকি ৪০ ভাগ টাকা দিতে না পারলে ফুটবলাররা অন্য ক্লাবে চলে যেতে পারেন। এরই মধ্যে কয়েজন খেলোয়াড় চলেও গেছেন।’ কোচ মারুফুলও আরামবাগের দায়িত্বে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

আরামবাগের জার্সিতে যাঁরা শেষ মৌসুমে আলো ছড়িয়েছিলেন, ইতিমধ্যে তাঁরা নতুন ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। দলের অধিনায়ক রবিউল হাসান যোগ দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে। উইঙ্গার আরিফুর রহমানের নতুন ঠিকানা সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলবেন মানিক হোসেন মোল্লা। আরামবাগের ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিত পাওয়া মাহবুবুর রহমান সুফিলের আবার ঘরে ফেরার কথা থাকলেও সিদ্ধান্ত বদল করে থেকে গিয়েছেন বসুন্ধরায়। দলটির গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল নাম লিখিয়েছেন মোহামেডানে। এ ছাড়া বাকিরাও নতুন ঠিকানায় নাম লেখানোর অপেক্ষায়।