ভারতকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহ পারেননি অন্যদের ব্যর্থতা কাটাতে। ছবি: এএফপি
মাহমুদউল্লাহ পারেননি অন্যদের ব্যর্থতা কাটাতে। ছবি: এএফপি

এমন দুর্দান্ত শুরুর এমন পরিণতি হবে কে জানত? ষষ্ঠ ওভারে পঞ্চাশ পার করা এক দল হাতে ৪ উইকেট রেখেও মাত্র ১৫৩ রান তুলতে পেরেছে। যে উইকেটে ১৭৫ রানকে নিরাপদ ভাবা হচ্ছে, সেখানে শিশিরভেজা বলে স্পিন আক্রমণ নিয়ে কতটা কী করতে পারবে বাংলাদেশ সে শঙ্কা থাকছেই।

লিটন দাসকে দেখে আজ যে কোনো দর্শকের মনে হতে পারে, আউট হওয়ার জন্য তর সইছে না তাঁর। একবার স্ট্যাম্পিং থেকে বেঁচেছেন, তাঁকে আউট করতে গিয়ে স্টাম্পের সামনে গ্লাভস নিয়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্ত। ১৭ রানে পাওয়া জীবন ছুড়ে দিলেন ২৬ রানে। কিন্তু এবারও তাঁকে যেতে দেয়নি ভারত। সোজা এক ক্যাচ ফেলেছেন রোহিত শর্মা। প্রথমবার দুর্ভাগা বোলারটি ছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। পরের বার ওয়াশিংটন সুন্দর।

শেষ পর্যন্ত হাস্যকরভাবে রানআউট হয়েছেন। ফিরেছেন ২৯ রান করে। দুবার জীবন পেয়েও মাত্র ১২ রান যোগ করেছেন। জীবন ফিরে পেয়ে কত রান করেছেন ব্যাটসম্যান, এ পরিসংখ্যান কেউ রাখে না। না হলে দুবার জীবন পেয়ে সবচেয়ে কম রান যোগ করার তালিকায় বেশ ওপরের দিকে থাকার কথা লিটনের।

লিটনের অমন আউটের আগে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশের ইনিংস। ৭.১ ওভারেই ৬০ রান পেয়েছিল দল। টি-টোয়েন্টি ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে প্রথম পঞ্চাশ জুটি এটি বাংলাদেশের। কিন্তু লিটনের আউটের পর সেই যে রান তোলার গতি কমল, সেটা আর ওপরের দিকে মাথা তুলে তাকাল। দশ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়াল ১ উইকেটে ৭৮। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১০ ওভারে আরও ১০০ রানের আশা অনায়াসেই করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা করতে পারলে তো! তারা তুলতে পেরেছে মাত্র ৭৫ রান।

মাত্র ১৫ বল ও ২০ রানের মধ্যে মোহাম্মদ নাইম (৩৬), মুশফিক (৪) ও সৌম্য (২০ বলে ৩০) ফিরে গেলেন। কারও আউটই দৃষ্টি সুখকর ছিল না। মাহমুদউল্লাহ কিছুটা চেষ্টা করেও দলকে ১৪২ রানে ফিরে গেছেন। ২১ বলে ৩০ রান করা মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছেন ১৯তম ওভারে। মাঝে আফিফও (৬) ফিরে যাওয়ায় শেষ দুই ওভারে রান তোলার দায়িত্ব পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। সে দায়িত্বে মোসাদ্দেক (৯ বলে ৭) পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।

আরও পড়ুন: