মাহমুদউল্লাহ কাউকে দোষ দিচ্ছেন না

বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ছবি: এএফপি

প্রথম ম্যাচ জিতে স্বপ্নের রথে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ দল? কাল দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের শেষ ৮ ওভার দেখে তেমন কিছু মনে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। মোসাদ্দেকদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে এ তেমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ না! অথচ শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। এক শ সত্তর-আশি এমনকি দুই শ রান ওঠার স্বপ্নও দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু মিডলঅর্ডারে এক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাকিদের ব্যর্থতায় খুব কষ্টে এক শ পঞ্চাশের ওপাশে যেতে পেরেছে বাংলাদেশ। রাজকোটে কালকের হারে ব্যাটিং ব্যর্থতাই চোখে পড়েছে বেশি।

বোলিংয়ে কাটাছেঁড়া করার খুব বেশি সুযোগ আছে কি? রোহিত শর্মার উত্তুঙ্গ ফর্মের সামনে সাদামাটা স্কোর তো এভাবেই উড়ে যায়! হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তাই ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েই বললেন, ‘আগে ব্যাট করে আমাদের ন্যূনতম ১৭৫ রান করা উচিত ছিল। রোহিত ভালো ফর্মে থাকলে তাকে থামানো কঠিন। স্কোর ডিফেন্ড করার একটা সুযোগ আমাদের পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংগ্রহটা ভালো হয়নি।’

>

রাজকোটে ভারতের কাছে হারে ব্যাটিং নিয়ে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেট ব্যাটসম্যানদের উইকেটে থাকা এবং তরুণেরা যেন ভুলের পুনরাবৃত্তি না করে—শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর এটাই প্রত্যাশা

রাজকোটের সৌরাস্ট্র স্টেডিয়ামে ন্যূনতম ১৮০ রান হলো ‘পার’ স্কোর। সেখানে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ৬ উইকেটে ১৫৪। অথচ ১২ ওভার শেষেও ওভারপ্রতি গড়ে ৮ রান করে তুলেছিল বাংলাদেশ। তখন স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৭। এখান থেকে শেষ ৪৮ বলে মাত্র ৫৭ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। পতন হয়েছে আরও ৪ উইকেটের। ব্যাটিংয়ের ভুলগুলো তাই চোখে বিঁধেছে বেশি। মাহমুদউল্লাহও সে কথাই বললেন, ‘চাপটা সম্ভবত আমাদের ওপর ছিল না। এ ম্যাচে আমরা কী কী ভুল করেছি দল হিসেবে সেগুলো ভাবতে হবে। কাউকে দোষ দিচ্ছি না তবে ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বোঝাটা জরুরি। কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে বিশেষ করে ব্যাটিং। এ উইকেটে ১৭০‍+ রান করা উচিত ছিল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারানোয় তা আমরা পারিনি।’

দিল্লিতে প্রথম ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। রাজকোটের জয়ে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল ভারত। রোববার নাগপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। এ ম্যাচে ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না বলেই জানিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে আপনি প্রতিদিন শিখতে পারেন। গ্রেট খেলোয়াড়েরা একই ভুল বারবার করে না। তরুণদের জন্য ভালো হয় যদি তারা ভুলের পুনরাবৃত্তি না করে। এ ধরনের উইকেটে সেট ব্যাটসম্যানদের থাকতে হয় রোহিত যেটা করেছে।’