অ্যাবটের ফেরার ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

পার্থে আজ দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
পার্থে আজ দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
২০১৪ সালে শন অ্যাবটের বল খেলতে গিয়েই মাথায় বল লেগে মৃত্যু হয়েছিল ফিলিপ হিউজের। এত দিন পর এই ম্যাচ দিয়েই অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন শন অ্যাবট। পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফেরাটাকে ম্যাচসেরা হয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। অ্যাবটের ফেরার ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়াও।


শন অ্যাবট সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর। ফিলিপ হিউজ তখনো জীবিত ছিলেন। এর ১৮ দিন পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন হিউজ, এই অ্যাবটের বলে মাথায় আঘাত পেয়েই। সেই ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। অবাক করা বিষয়, এই পাঁচ বছরে আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা হয়নি অ্যাবটের। অ্যাবট ফিরলেন পাঁচ বছর পর আরেক নভেম্বরেই। ম্যাচসেরা হয়ে জাতীয় দলে ফেরার উপলক্ষটাকে স্মরণীয় করে রেখেছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের এই পেসার। অ্যাবটের ফেরার দিনে সহজে জিতেছে অস্ট্রেলিয়াও, পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকেরা।

পার্থের নতুন স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অ্যারন ফিঞ্চ। সিদ্ধান্তটা যে শতভাগ ঠিক, শুরু থেকে অস্ট্রেলীয় বোলাররা সেটিই প্রমাণ করেছেন। ইফতিখার আহমেদ ও ইমাম- উল-হক ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি আর কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। ফলাফল, পুরো ২০ ওভার খেলেও পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে জমা মাত্র ১০৬ রান। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নতুন বল হাতে পেয়ে নিজের সেরাটাই দেখিয়েছেন অ্যাবট। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের খরচায় পেয়েছেন ইমাম ও ইমাদ ওয়াসিমের উইকেট দুটি। নতুন বলে অ্যাবটের সঙ্গী মিচেল স্টার্কও পেয়েছেন ২ উইকেট, কেন রিচার্ডসনের দখলে গেছে ৩ উইকেট।

ফিল হিউজের মৃত্যুর পর এই প্রথম অস্ট্রেলীয় দলে ফিরলেন শন অ্যাবট। ছবি: এএফপি
ফিল হিউজের মৃত্যুর পর এই প্রথম অস্ট্রেলীয় দলে ফিরলেন শন অ্যাবট। ছবি: এএফপি

সহজ এই লক্ষ্যে পৌঁছতে একটুও বেগ পেতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার মিলে ৪৯ বল বাকি থাকতেই জিতিয়েছেন দলকে। ফিঞ্চ অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে, ওয়ার্নার ২ রানের জন্য ছুঁতে পারেননি ফিফটি। ১৯ বছর বয়সী পেসার মোহাম্মদ মুসার অভিষেকটা মনে রাখার মতো হয়নি, ৩.৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৯ রান। আরেক তরুণ পেসার মোহাম্মদ হাসনাইনও ছিলেন বেশ খরচে।

এ নিয়ে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখল অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট হতে চলেছে স্বাগতিকেরা, সেটিই যেন জানিয়ে দিল তারা।