কাল ভারতের বিপক্ষে যে 'অভ্যাস' পাল্টাতে হবে মাহমুদউল্লাহদের

ডট বল খেলার হার কমাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ছবি: এএফপি
ডট বল খেলার হার কমাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টি সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কাল ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নাগপুরে এ ম্যাচটি জিততে পারলেই সিরিজ জিতে নেবে সফরকারি দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে অসহায় হারে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা বেশি করে চোখে বিঁধেছে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও সে কথা বলেছেন। এর মধ্যে একটি বিষয় ছিল ‘ডট বল’।

রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরে ভারত। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসে ডট বল খেলার সংখ্যা ছিল ৩৮টি। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কথাও বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘টি-টোয়েন্টিতে ৪০টির বেশি ডট বল খেললে জেতার সম্ভাবনা কমে যায়। আমরা ৩৮টি ডট বল খেলেছি। হয়তো এটা তেমন কিছু না কিন্তু উন্নতির সুযোগ আছে।’

বাংলাদেশের সাদামাটা সংগ্রহ ভারত তাড়া করেছে ১৫.৪ ওভারে। অর্থাৎ ৯৪ বল খেলেছে ভারত, এর মধ্যে ২৭টি ডট। রোহিত শর্মা ঝোড়ো ইনিংস খেলার পরও এ ডটসংখ্যায় বোঝা যায়, আসলে ঠান্ডা মাথায়ই ব্যাট করেছে ভারতীয়রা। কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসের চিত্র ছিল একেবারেই আলাদা। দুর্দান্ত শুরুর পর মাঝপথে কয়েকটি উইকেট হারানো এবং ডট খেলার চাপে পড়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ব্যাটসম্যানেরা।

কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে আরও বেশি ডট বল খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ জিতেছে ৩ বল হাতে রেখে। এ পথে ডট বলসংখ্যা ৪৪টি। যদিও সে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে কখনো মনে হয়নি ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে পড়েছে। তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বেশি ডট বল খেলে চাপে পড়ার স্বভাবটা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু না।

>

নাগপুরে কাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় একটি ‘বিশেষ’ অভ্যাস পাল্টালে তা দলের ইনিংসের জন্যই ভালো হবে

চলতি বছর খেলা ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানে হারে বাংলাদেশ। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৬টি ডট খেলেছিলেন ব্যাটসম্যানেরা। জয় পাওয়া তিনটি ম্যাচেও ডটসংখ্যা কম নয়।

ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৩ উইকেট জিতলেও ডটসংখ্যা ছিল ৪০টি। সে টুর্নামেন্টেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৭৫ রান তোলার পর ৩৯ রানের জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এ ম্যাচেও ডটসংখ্যা কম ছিল না—৩৮টি। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৩৮ রান তাড়া করে জিততে ৩০টি ডট খেলেছে।

টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে ডট বল সব সময়ই দুশ্চিন্তার আরেক নাম। জিতলে তা হয়তো খুব একটা গায়ে লাগে না। শেষ ম্যাচে হারের পর অবশ্য একটি প্রশ্নও উঠেছে। বাংলাদেশ দল যেমন ৩৮টি ডট দিয়েছে তেমনটি গোটা ইনিংসে ছক্কাসংখ্যা ছিল মাত্র ১টি। যেখানে রোহিত শর্মা একাই মেরেছেন ৬ ছক্কা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কিন্তু বলেছিলেন, ২০-২৫ রান কম হয়ে গেছে। এর জন্য কম ছক্কার পাশাপাশি বেশি ডট বল খেলাও কিন্তু দায়ী। তৃতীয় ম্যাচে এ অভ্যাস পাল্টাতে পারবে তো বাংলাদেশ?