লিংক হবে, মিনহাজুলকে ভারতীয় ক্রিকেটার

বিপিএল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে নাগপুরেই। ছবি: বিসিবি
বিপিএল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে নাগপুরেই। ছবি: বিসিবি

এখানেও বিপিএল
‘আমি কোন গ্রেডে স্যার?’ 

দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন পড়েছেন ভালোই বিপাকে! কাল বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অনুশীলন মাঠে যখন দলের প্রস্তুতি দেখছিলেন, বারবার বেজে উঠছিল তাঁর ফোন!

‘কী করব বলুন, খেলোয়াড়েরা বারবার ফোন করে বলছে, আমি বিপিএলে কোন গ্রেডে আছি স্যার? আমি কজনের উত্তর দেব বলুন? ৪০০ ক্রিকেটার আছে, নির্বাচক হিসেবে কি আমি সবার গ্রেড বলতে পারব? বিশ্বের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের নিবন্ধনের নিয়ম আছে। শুধু আমাদের নেই। নিবন্ধন করার সুযোগ থাকলে গ্রেডিং নিয়ে এত ধোঁয়াশা থাকে না!’ খানিকটা বিরক্তি নিয়েই বলছিলেন মিনহাজুল।

১৭ নভেম্বর বিপিএল নিলামের আগে খেলোয়াড়দের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিসিবি। আর এতেই ক্রিকেটাররা ঔৎসুক্য মনে জানতে চাইছেন-কে কোন গ্রেডে পড়েছেন। গ্রেডের সঙ্গে যে পারিশ্রমিকের অঙ্কটা যুক্ত! নিজের গ্রেড জানতে ভীষণ আগ্রহী ভারত সফরে থাকা খেলোয়াড়েরাও। এমনকি কজন ভারতীয় ক্রিকেটারেরও আগ্রহের শেষ নেই। মিনহাজুলই জানালেন, মুনাফ প্যাটেল তাঁকে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছেন, লিগে নিবন্ধন করার লিংক পাবেন কোথায়? বিসিবির প্রধান নির্বাচকের জবাবও হয়েছে সরস, ‘আমার নিজেরই লিংক নেই, তোমাকে কীভাবে লিংক দেব!’

সভাপতির শহরে
সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি দেখতে কাল নাগপুরে এসে পৌঁছেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এই ম্যাচ দেখতে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে থাকবেন আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরও। নাজমুলের সঙ্গে এমনিই শশাঙ্কের ভালো বন্ধুত্ব। আইসিসি সভাপতি আবার এই শহরের বাসিন্দা। বছরের বেশির ভাগ থাকেন এখানেই। এ ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি অপ্রত্যাশিত নয়।

তবে কাল দুপুরে শোনা গিয়েছিল মাঠে থাকতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীও। পরে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আনন্দ জয়সওয়াল জানালেন, সৌরভ আসছেন না। বিসিসিআই প্রধান থাকলে নিশ্চয়ই ষোলোকলা পূর্ণ হতো আয়োজকদের।

লাল-সাদা অনুশীলন
বাংলাদেশ টেস্ট দলের ছয় সদস্য পরশু সন্ধ্যায় পৌঁছেছেন নাগপুরে। কাল দুপুরে তাঁরাও করেছেন অনুশীলন। বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ভাগ করা ছিল দুই ভাগে। সকাল করেছে টি-টোয়েন্টি দলের খেলোয়াড়েরা। টি-টোয়েন্টি দল শেষ করলে দুপুরে শুরু করেন টেস্ট দলের খেলোয়াড়েরা।

একই দলে থেকেও সৌম্য-মুমিনুলদের ভাগ করেছে সাদা আর লাল বল। অবশ্য লাল বলের চেয়ে এখন বেশি আলোচিত গোলাপি বল। ইডেনে দিবারাত্রির টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে গোলাপি বলে। এই নিয়ে তাঁদেরও নানা কৌতূহল। ইডেনে যে গোলাপি বলে খেলা হবে সেটির সিম হবে কালো। সিম কালো কিংবা সাদা হলে কী সুবিধা-অসুবিধা, সেটি নিয়ে নানা আলোচনা ক্রিকেটারদের মধ্যে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি, যেকোনো টেস্ট সিরিজ খেলার আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে থাকে সব দলই। অথচ ভারত সফরে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই। আয়োজক বোর্ড সূচি এতটাই আঁটসাঁট করেছে যে প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি। মুমিনুলদের তাই নেটেই নিতে হবে লাল-গোলাপি বলের প্রস্তুতি।