ক্যাসিনো-ধাক্কা সামলে সাব্বির-জনিদের কাঁধে মোহামেডান

মোহামেডানের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়েছেন বাদল রায়, সাব্বির, নকীব, জনিদের মতো সাবেক তারকারা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
মোহামেডানের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়েছেন বাদল রায়, সাব্বির, নকীব, জনিদের মতো সাবেক তারকারা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইন-চার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ক্লাবমুখী হয়েছেন ক্লাবের সাবেক ফুটবলাররা। নতুন মৌসুমের জন্য তারা দল গঠন করে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন তারা।


সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনো অভিযানের ধাক্কায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। নতুন মৌসুমে বাংলাদেশের ফুটবলে ‘মোহামেডান’ নামের কোনো দল থাকবে কিনা সেটি নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে কয়েক দিন যেতে না যেতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। নেতৃত্বে সাবেক ফুটবলাররা এসেই ভাবমূর্তি ফেরানোর লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। তাদের চেষ্টাতেই নতুন মৌসুমের জন্য দল গুছিয়ে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছে দলটি। এটা একটা বড় চমকই।

ক্যাসিনো-কাণ্ডে ক্লাবের ডিরেক্টর ইন-চার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হয়েছেন। দলের পরিচালনায় এসেছে বদল। বাদল রায়,ছাইদ হাসান কানন, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবের মতো সাবেক তারকা ফুটবলাররা এগিয়ে এসেছেন। অস্ট্রেলীয় কোচ শন লেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে। এখন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় ২৬ জন। এদের মধ্যে আগের মৌসুমের আছে মাত্র ৭ জন।

পুরোনোদের মধ্যে থেকে গিয়েছেন গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু, মিডফিল্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগ, ডিফেন্ডার শ্যামল বেপারী ও ফরোয়ার্ড আমির হাকিম বাপ্পি, মোহাম্মদ মিঠু, অনিক ঘোষ ও ইউসুফ সিফাত। নতুনদের মধ্যে আসা সবচেয়ে বড় নাম গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। জাতীয় দলে যাওয়া আসার মধ্যে থাকা এই গোলরক্ষক আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ থেকে পুরোনো ক্লাবে ফিরেছেন। শেখ রাসেল থেকে ফিরছেন জাতীয় দলের সাবেক ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীবও। এ ছাড়া সেনাবাহিনী থেকে গোলরক্ষক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে ডিফেন্ডার হুমায়ুন কবির খানকে। রক্ষণভাগে আরামবাগের ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান, শেখ রাসেলের ফরহাদুজ্জামান, নোফেল এসসির ফরহাদ মনা, মাসুদ রানা, কামরুল ইসলাম, সকার ক্লাবের ইমন খান ও টিম বিজেএমসির সাব্বির আহমেদ সুমন।

মাঝমাঠের বসুন্ধরা কিংস থেকে এসেছেন মিডফিল্ডার সোহানুর রহমান, শেখ রাসেলের রুম্মন, চট্টগ্রাম আবাহনীর শাহেদ হোসেন ও অনিক, সাইফ স্পোর্টিংয়ের কবির, ভিক্টোরিয়ার আবিদ হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের রাকিব খান ইভানকে। আক্রমণভাগের জন্য নেয়া হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ওসাই মং মারমাকে। বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে এশিয়ান কোটায় জাপানের মিডফিল্ডার উরু নাগাতাকে এবারও দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া শেষ লিগের দ্বিতীয় পর্বে এসে আলো ছড়ানো মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতের গায়েও দেখা যেতে পারে মোহামেডানের জার্সি।

মোহামেডানের সাবেক কোচ ও বর্তমান কোচের পরামর্শ অনুযায়ী দল গঠন করা হয়েছে বলে জানালেন ক্লাবের সাবেক তারকা সাব্বির, ‘শফিকুল ইসলাম মানিক, সাইফুল বারি টিটু মোহামেডানের সাবেক খেলোয়াড় যারা বর্তমানে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগের মৌসুমের কোচ শন লেন যে খেলোয়াড়দের রাখতে বলেছেন, তাদের নিয়েই দল সাজানো হয়েছে। আর এবার যেহেতু আগেভাগেই অনুশীলন শুরু করেছি, ভালো কিছু করা সম্ভব।’