আর দুই ওভার থাকলেই হয়ে যেত, নাঈমকে হরভজন

এই জুটিই পথ দেখিয়েছিল বাংলাদেশকে। ছবি: এএফপি
এই জুটিই পথ দেখিয়েছিল বাংলাদেশকে। ছবি: এএফপি

এ আফসোস কি এত সহজে যায়? কী দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন। অথচ মাঠ ছাড়তে হলো পরাজয়ের হতাশা নিয়ে। নাগপুরে কাল রাতে ৮১ রানের মুগ্ধ করা এক ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে না পারলেও মোহাম্মদ নাঈম ভিজছেন প্রশংসার বৃষ্টিতে। সাবেক ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং তো তাঁর পিঠ চাপড়েই দিয়েছেন।

এসব প্রশংসা তাঁর কাছে এখন সান্ত্বনার প্রলেপ মাত্র। নাঈমের কিছুতেই যে আফসোস যাচ্ছে না। আজ নাগপুর থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরার আগে বাংলাদেশ দলের তরুণ ওপেনার সাংবাদিকদের বললেন, ‘আক্ষেপটা অনেক বেশি। ম্যাচটা জিততে পারলে, সিরিজ জিততে পারলে অনেক ভালো লাগত। জিততে পারিনি, খারাপ লাগছে।’

তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৯৮ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েছিলেন নাঈম। বাঁহাতি ওপেনারের আফসোস, আরেকটা জুটি গড়তে পারলেই ম্যাচের গল্পটা হতে পারত অন্যরকম, ‘আমাদের আরেকটা জুটি হলে হয়তো আমরা জিততে পারতাম। আক্রমণাত্মক না, যেভাবে লক্ষ্য ছিল সেভাবে চেষ্টা করছি। আক্রমণাত্মক খেলা ঠিক না। যেভাবে খেলা দরকার সেভাবে চেষ্টা করেছিলাম।’

নাঈম যেভাবে এগিয়েছিলেন, বাকিরা যদি শেষ দিকে তাঁর মতো হিসাবি ক্রিকেট খেলতে পারত, ম্যাচটা পরাজয়ের হতাশা নিয়ে ফিরতে হতো না। তবে নাঈম চেয়েছিলেন তিনি আর মিঠুন যেন শেষ করে আসেন খেলাটা। সেটি হয়নি। ওই জুটির পর বাংলাদেশের আর কোনো বলার মতো জুটিই হয়নি। মিঠুন-নাঈম ছাড়া কারও রান দুই অঙ্কেও পৌঁছেনি। তবে ম্যাচ শেষে যেভাবে সবাই তাঁর প্রশংসা করেছে, এটি বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে নাঈমকে, ‘দলের সবাই অনেকে প্রশংসা করছে। ওদের কিছু খেলোয়াড় অভিনন্দন জানিয়েছে। হরভজন সিং বলেছেন, তোমরা আর দুই ওভার থাকলে হয়তো ম্যাচ জিততে পারতে। ভালো খেলছ, আরেকটা জুটি হলে হয়ে যেত।’