সাকিবকে র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ দিল আইসিসি

র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ সাকিব আল হাসান! প্রথম আলো ফাইল ছবি
র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ সাকিব আল হাসান! প্রথম আলো ফাইল ছবি
>তিন সংস্করণেই শীর্ষ অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব। কিন্তু ওয়ানডের এক ও টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডারকে তালিকাতে আর রাখছে না আইসিসি। টেস্টে আপাতত দেখা যাচ্ছে তাঁকে

এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ককে ছাড়া কঠিন এক সময় পার করতে হবে বাংলাদেশকে। তবু তাঁর অভাব পূরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো পাওয়া জয় দিয়ে সে পথে হাঁটতে শুরু করেছে দল। আইসিসি অবশ্য এই এক বছরে সাকিবকে ভুলেই থাকতে চাইছে। তাদের কোনো র‌্যাঙ্কিংয়েই নেই সাকিবের নাম।

বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে নতুন র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। সে র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ হতেই বিস্ময়টা টের পাওয়া গেল। সিরিজের আগেও টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসান তালিকাতেই নেই! কয়েক দিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসাদের কারণে বিশ্রাম নেওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেমেছেন দুইয়ে। সে সুযোগে প্রথমবারের মতো শীর্ষে এসেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। আর সাকিবের অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডার এখন মাহমুদউল্লাহ। সিরিজে মাত্র এক ওভার বল করেও র‍্যাঙ্কিংয়ে চারে আছেন মাহমুদউল্লাহ।

বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে নয়ে থাকা সাকিবের অনুপস্থিতিতে শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন আরেক বাঁ হাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার। ব্যাটিংয়ে ৩২ নম্বরে থাকা সাকিবের জায়গায় এখন কাইল কোয়েতজার। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং থেকে নাম কাটা পড়েছে সাকিবের। সর্বশেষ প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৯৪ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডেতে শীর্ষ অলরাউন্ডার ছিলেন সাকিব। টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডের জন্য এখনো কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি আইসিসি। কিন্তু তাদের ওয়েবসাইটে এখন ওয়ানডের শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে ৩১৯ পয়েন্ট পাওয়া বেন স্টোকসকেই দেখানো হচ্ছে। অভিষেকের পর থেকে ব্যাটিং বা বোলিং গত এক দশকে শীর্ষ এক শতে থাকা সাকিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো তালিকাতেই।

মজার ব্যাপার, দুই র‍্যাঙ্কিং থেকে সাকিবকে সরানো হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টেস্টের অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বোলারদের মাঝেও সাকিবকে ২০ নম্বরে দেখা যাচ্ছে। ব্যাটিংয়েও ২০-এ থাকা তামিমের পরেই আছেন সাকিব (৩০)।

২০১৮ থেকে ২০১৯ এর মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য অনুপস্থিত ছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে র‍্যাঙ্কিংয়ে এমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আইসিসি নয়, তাদের নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতেই হয়তো র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ দেওয়া হয়নি স্মিথ-ওয়ার্নারদের। এর আগে ডোপিং পরীক্ষায় সহযোগিতার কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আন্দ্রে রাসেলের ক্ষেত্রেও র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের মতো শাস্তি পেতে দেখা যায়নি।