টেস্ট ইন্দোরে, কোহলিদের ভাবনায় কলকাতা

এখন থেকেই গোলাপি বলে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন কোহলিরা। ছবি : এএফপি
এখন থেকেই গোলাপি বলে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন কোহলিরা। ছবি : এএফপি

ভারত সফরে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কলকাতায় শেষ টেস্টটা হবে দিনরাতের। এই টেস্টের মধ্য দিয়ে দুই দল প্রথমবারের মতো দিনরাতের টেস্টের স্বাদ পেতে যাচ্ছে। ফলে সে টেস্টটা নিয়ে যত আলোচনা হচ্ছে, ইন্দোর টেস্টটা নিয়ে তত হচ্ছে না। কোহলিদের অনুশীলনেও বারবার উঠে আসছে কলকাতা টেস্টই। ইন্দোর টেস্টের প্রস্তুতিটা যে তারা সারছেন গোলাপি বল দিয়েই।

ইন্দোরে খেলা হবে লাল বলে। লাল বলে খেলতে সবাই অভ্যস্ত দেখেই কী না, গতকাল কোহলিদের অনুশীলনের বেশির ভাগ সময় জুড়ে থাকল গোলাপি বল। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে যেন গোলাপি বলে অনুশীলন করা যায়, সে জন্য কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে অনুরোধ করেছিলেন কোহলিরা। সে অনুরোধ রক্ষা করা হয়েছে। ফলে গতকাল মূলত গোলাপি বল দিয়েই অনুশীলন সেরেছে ভারত।

>

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দিনরাতের টেস্ট খেলতে যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ। কিন্তু কলকাতায় হতে যাওয়া সে টেস্টের আগে ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে হবে দুই দলকে। কিন্তু ইন্দোরেই কলকাতা টেস্ট নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন কোহলিরা। অনুশীলন করছেন গোলাপি বলে।

ভারতের টেস্ট দলের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই এর আগে গোলাপি বলে খেলেছেন। দুলীপ ট্রফিতে গোলাপি বলে খেলেছেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও চেতেশ্বর পূজারারা। বিভিন্ন সময়ে ঋদ্ধিমান সাহা, অজিঙ্কা রাহানেরা গোলাপি বলে খেললেও এত দিন এই বলে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না অধিনায়ক বিরাট কোহলির। গতকাল সেটাও হয়ে গেল। লাল ও গোলাপি বলের পার্থক্য বুঝতে গতকাল গোলাপি বলে বেশ ঘাম ঝরিয়েছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। পরে ধীরে ধীরে গোলাপি বলে ব্যাটিং করেছেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, রোহিত শর্মারা।

গোলাপি বলের প্রস্তুতি নিয়ে রাহানে বেশ রোমাঞ্চিত, ‘এটা খুব রোমাঞ্চকর ছিল। প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে অনুশীলন করলাম। অনুশীলনের সময় আমাদের মনোযোগ ছিল বলের সুইং আর সিমে। অনুশীলনের পর যেটি বুঝলাম লাল বলের চেয়ে গোলাপি বলে বেশি হয় (সুইং-মুভমেন্ট)। আমাদের একটু দেরিতে খেলতে হবে। রাহুল ভাইয়ের (দ্রাবিড়) সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের অনুশীলনে ছিলেন। আমাদের খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হয়েছে। এখন আমাদের মনোযোগ এই টেস্টে, লাল এসজি বলে।’