ওমানে 'ভালোবাসা'র প্রতিদান দিতে চান ফুটবলাররা

ওমানে প্রবাসি বাংলাদেশিদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
ওমানে প্রবাসি বাংলাদেশিদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
>আগামীকাল ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে খেলা হলেও সেখানে পরিচিত আবহতেই আছেন জামাল ভূঁইয়ারা। অনুশীলন মাঠ থেকে শুরু করে টিম হোটেল, সর্বত্রেই জামালদের পিছে পিছে ঘুরছেন মাসকাটে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার জন্য প্রায় ১১ দিন ধরে মাসকাটে ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ। দেশ থেকে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও যেন আপনজনদের মধ্যেই আছেন জামাল ভূঁইয়ারা। অনুশীলন মাঠ থেকে শুরু করে টিম হোটেল, সর্বত্রেই জামালদের অনুসরণ করছেন মাসকাটে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ দলের সম্মানে বড় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে তারা। ওমানের বিপক্ষে লড়াই করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান দলের গোলরক্ষক আশরাফুল রানা।

বাংলাদেশ সময়ে আগামীকাল রাত ৯টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মাসকাটের সুলতান খাবুস স্টেডিয়ামে। নিঃসন্দেহে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কঠিন এক পরীক্ষা। তবে বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা গত মাসে কাতার ও ভারতের বিপক্ষে খেলা শেষ দুই ম্যাচ। ঘরের মাঠে কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারলেও দুর্দান্ত খেলেছিল বাংলাদেশ। আর কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে ১ গোলে এগিয়ে থেকেও ১-১ ব্যবধানে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়া। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের এই গোলরক্ষকের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।

ইতিহাস নিয়ে পড়ে থাকার মানুষ নন আশরাফুল। আগামীকাল আরও বড় পরীক্ষা দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে, এটাই এখন তাঁর লক্ষ্য, ‘মানুষ ফুটবল ও দেশকে কত ভালোবাসে, তা এখানে (ওমানে) এসে বেশি টের পাচ্ছি। সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করার পরেও একটু সুযোগ পেলেই তারা অনুশীলনের মাঠে আসছেন, হোটেলে আসছেন। মনে হচ্ছে নিজেদের পরিচিত এলাকাতেই আছি। তাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। ওমানের বিপক্ষে লড়াই করে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই আমরা।’

শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুবাস ছড়িয়েও ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ সেরা হিসেবে আশরাফুল রানার নাম উল্লেখ করেছিলেন ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ। গোলপোস্টের নিচে সেদিন রানার হাত হয়ে উঠেছিল আস্থার প্রতীক। ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে আদিল খানের মাথা ছুঁয়ে যে বল জালে জড়িয়েছিল, সেখানে কিছুই করার ছিল না তাঁর। তবে ভারত ছাড়াও কাতারের বিপক্ষেও দুর্দান্ত খেললেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করতে হয়েছে। সে কারণেই স্কোর লাইনটা ঠিক দলের আসল পারফরম্যান্সের জানান দিচ্ছে না। বিষয়টি ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। মাসকাটের অনুশীলনে এই নিয়েই বেশি কাজ হয়েছে বলে জানালেন আশরাফুল, ‘শেষ দিকে গোল খাওয়া খুবই হতাশার। এই সমস্যাটা দূর করার জন্য অনুশীলনে বেশি বেশি কাজ করা হয়েছে।’

আগামীকাল যে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, তাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ দিকে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভারত। আর ভারতের বিপক্ষে ১ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাই উঠে আসছে এই পরিসংখ্যানটিও। বিষয়টি দলকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নে আশরাফুলের জবাব, ‘আসলে এভাবে ভাবার সুযোগ নেই। আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১ গোলে হেরেছি আবার ওমান আফগানদের ৩ গোল দিয়েছে। ওমান অনেক কঠিন দল। তাদের সঙ্গে আমরা ৯০ মিনিট লড়াই করতে চাই। দিনটি যাদের ভালো যাবে, তাদের পক্ষেই থাকবে ফলাফল।’