ইমরুলকে কি একটা ধন্যবাদ দিয়েছেন মায়াঙ্ক?

দুই শ করার পর ড্রেসিংরুমের দিকে মায়াঙ্কের ইঙ্গিত। ছবি: এএফপি
দুই শ করার পর ড্রেসিংরুমের দিকে মায়াঙ্কের ইঙ্গিত। ছবি: এএফপি

২৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মায়াঙ্ক আগারওয়াল যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ইমরুল কায়েসও অভিনন্দন জানালেন ভারতীয় ওপেনারকে। মায়াঙ্ক কি তখন ইমরুলকে একটা ধন্যবাদ জানিয়েছেন?

রসিকতা নয়, আজ সংবাদ সম্মেলনে মায়াঙ্ককে সত্যি প্রশ্নটা করা হয়েছে। কাল আবু জায়েদের বলে স্লিপে ইমরুল যখন সহজ ক্যাচটা ছাড়লেন, মায়াঙ্কের রান ৩২। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পাঁচবার সুযোগ পেয়েও দলীয় স্কোর ১৫০ রানের বেশি করতে পারেননি। মায়াঙ্ক একবার সুযোগ পেয়েই করেছেন ২৪৩! ইমরুল কি দেখেননি ভারতীয় এ তরুণ ওপেনার ইনিংস কতটা লম্বা করতে পারেন? কদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার ইনিংসে করেছিলেন ২১৫, ৭, ১০৮ ও ১০।

মায়াঙ্ক যখন ১৫০ করে ড্রেসিংরুমের দিক ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন, বিরাট কোহলি তাঁকে দুই আঙুল দিয়ে তাঁকে ইঙ্গিত করলেন, ‘ডাবল সেঞ্চুরি করতে হবে।’ মায়াঙ্ক অধিনায়কের ‘আদেশ’ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন। মিরাজকে উড়িয়ে মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। উদ্‌যাপনের সময় ড্রেসিংরুমের দিকে কোহলিকে তিনিও দুই আঙুল দেখিয়ে যেটি ইঙ্গিত করলেন, তার অর্থ, ‘ডাবল সেঞ্চুরি করেছি!’ মায়াঙ্ককে এবার কোহলি তিন আঙুল দেখালেন—‘ট্রিপল সেঞ্চুরি করে আস!’

ট্রিপল সেঞ্চুরিটা অবশ্য করতে পারেননি মায়াঙ্ক। তবে যা করেছেন, প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১১জনও তা করতে পারেননি! যাঁর সৌজন্যে এমন দুর্দান্ত ইনিংস খেলার সুযোগটা হলো, ফেরার সময় ইমরুলকে কি একটা ধন্যবাদ দিয়েছেন? এ প্রশ্নে মায়াঙ্ক না হেসে পারলেন না। হাসি থামিয়ে বললেন, ‘এটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই (ক্যাচ হাতছাড়া)। তবে হ্যাঁ, তখন ভাবছিলাম আমি যদি একটা সুযোগ পাই, সেটা কাজে লাগবই। এভাবে সুযোগ দিলে ওরা যেন এর চড়া মূল্য দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হয়।’

তা সেটা তিনি করেছেন। দিনের খেলা শেষে হোটেলে ক্রিকেটারদের নানাভাবেই সময় কাটে। মায়াঙ্ক জানালেন, তাঁর সময় কাটে ‘পাবজি’ খেলে! গেমসে প্রতিপক্ষকে যেভাবে গুঁড়িয়ে দিতে হয়, ২২ গজে সেভাবেই তিনি এগিয়েছেন!